সেই ২০২৩ সালের মে মাসে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে বাগদান সেরেছেন দুজন। তারপর প্রায় দুই বছর হতে চলল। মাঝে বিয়ে করছেন বলে গুঞ্জন উঠলেও তা সত্য হয়নি। অবশেষে জানা গেল বাগ্‌দত্তা লরেন সানচেজের সঙ্গে কবে গাঁটছড়া বাঁধছেন আমাজনের মালিক জেফ বেজোস।

পেজ সিক্সের খবর অনুযায়ী, বেজোস-সানচেজের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরু হয়ে গেছে। এই গ্রীষ্মে ইতালির ভেনিসে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ এই ধনীর বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন হতে চলেছে। বর বেজোসের বয়স ৬১ বছর, কনে সানচেজের বয়স ৫৫।

সানচেজের সঙ্গে বাগদানের চার বছর আগে ম্যাকেঞ্জি স্কটের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বেজোসের। বেজোস-ম্যাকেঞ্জি ২৫ বছর সংসার করেছেন।

সানচেজও বিবাহিত ছিলেন। ২০২৩ সালে সাবেক স্বামী প্যাট্রিক হোয়াইটসেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর।

নিজেদের ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বিলাসবহুল ইয়টে এ বছরের জুনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন বেজোস ও সানচেজ।

আরও পড়ুনআমাজনের মালিক জেফ বেজোস কি আবার বিয়ে করছেন২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

এর আগে শোনা গিয়েছিল, গত বছর ডিসেম্বরে কলোরাডোতে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিক সম্পন্ন হবে। কিন্তু পরে ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক বেজোস ওই তথ্য মিথ্যা বলে উড়িয়ে দেন।

২০ ক্যারেটের একটি হীরকখচিত আংটি দিয়ে সানচেজকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন বেজোস। পরে মার্কিন মাসিক ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ভোগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানচেজ ওই মুহূর্তের বর্ণনায় বলেছিলেন, এই মুহূর্তে ‘কিছুক্ষণের জন্য চোখে অন্ধকার দেখেছেন’ তিনি।

সংসার ভাঙছে জেফ বেজোসের

সাবেক বিনোদন সাংবাদিক সানচেজ এ বছর বেজোসের হাত ধরে ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনবিশ্বের দ্বিতীয় ধনীর সঙ্গে প্রেম করছেন, কে এই ভাইরাল বিনোদন সাংবাদিক লরেন সানচেজ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা হবে: আপ বাংলাদেশ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত না হলে তা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছে ইউনাইটেড পিপলস (আপ) বাংলাদেশ। এ সময় পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর

দাবিগুলো হলো— আসন্ন জকসু নির্বাচন ২৭ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত করতে হবে; নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে; সব সংগঠনকে সমান সুযোগ দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে; অরাজনৈতিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জবির প্রধান সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা যখন জকসুর দাবিতে অনশন করছিলাম, তখন প্রশাসন ২৭ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাদের অনশন ভাঙিয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, একটি মহল নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছে।”

তিনি বলেন, “ডিসেম্বর মাসে ভর্তি পরীক্ষা ও বিভিন্ন বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় ওই মাসে নির্বাচন অসম্ভব। তাই ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচনের উপযুক্ত সময়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা জানতে চাই, নির্বাচন পেছানোর মধ্য দিয়ে জকসু নির্বাচন ভণ্ডুল করার কোনো প্রক্রিয়া চলছে কিনা। পুরান ঢাকাকে অস্থিতিশীল করে একটি মহল নির্বাচন পণ্ড করতে চায়। শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রথম ভোট হবে জকসু নির্বাচন—তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ