দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা বরকতউল্লা বুলু
Published: 25th, March 2025 GMT
১৮ বছর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা দুদকের মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।
বরকতউল্লা বুলুর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বরকতউল্লা বুলু।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, বরকতউল্লার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় গত বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুরুল আলম সাক্ষ্য দেন।
৩৮ কোটি ৩৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি মামলা করে দুদক। পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আর ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর বরকত উল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে ২১ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুনবরকতউল্লা বুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ, যুক্তিতর্ক শুনানি ২৫ মার্চ২০ মার্চ ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, এসব অর্থ তিনি জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের কাজে ব্যবহার করেছেন। এ প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
দুদক জানিয়েছে, শিগগিরই এই মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।