সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 25th, March 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আবদুল বাতেন ও তাঁর স্ত্রী নূর জাহান আক্তারের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো.
মো. আক্তার হোসেন বলেন, আবদুল বাতেনের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৮০৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর চারটি ব্যাংক হিসাবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৭০২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এই মামলায় নূর জাহানের সঙ্গে আবদুল বাতেনকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আবদুল বাতেনের স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেন আদালত। গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহত আবু সাঈদের এলাকা রংপুরে তিনি কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ১৩ আগস্ট রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনআবু সাঈদ হত্যা: বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা১৩ আগস্ট ২০২৪উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ব ত ন র
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান ফিরোজ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করা হয়। আজ বুধবার এ তথ্য জানায় দুদক।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে বলা হয়, আসামি নাজমুল হাসান ফিরোজ ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি নিজ নামে এসব সম্পদ ভোগ ও দখলে রেখেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নাজমুল হাসান ফিরোজ সর্বশেষ মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক।
পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের এজাহারে আরও বলা হয়, নাজমুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া আইনুন নিশাতের নামে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার ১১৬ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে নাজমুলের নামে দায় রয়েছে ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৩৮৫ টাকার। ফলে নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার ৭৩১ টাকা। অথচ আয়কর নথি অনুযায়ী নাজমুলের বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় মাত্র ৫৭ লাখ ৯ হাজার ৮১১ টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, দুজনের অবৈধ সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৭৫ লাখ ৪০ হাজার ৯২০ টাকা।
দুদক বলছে, আসামি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব সম্পদ অর্জন করলেও তাঁর কাছ থেকে এসব আয়ের গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের বিভিন্ন ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
দুদক আরও জানিয়েছে, তদন্ত চলাকালে আসামি বা তাঁর নির্ভরশীলদের নামে–বেনামে অন্য কোনো সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেলে, সেটিও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।