আলিয়ার সঙ্গে কেন রোমান্স করতে চান না ইমরান হাশমি?
Published: 26th, March 2025 GMT
অনুরাগ বসু নির্মিত বহুল আলোচিত বলিউড সিনেমা ‘মার্ডার’। মহেশ ভাট প্রযোজিত এ সিনেমা ২০০৪ সালে মুক্তি পায়। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন মল্লিকা শেরাওয়াত ও ইমরান হাশমি। সিনেমাটিতে তাদের রোমান্স, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল।
মূলত, এরপরই বলিউডে ‘সিরিয়াল কিসার’ হিসেবে পরিচিতি পান ইমরান হাশমি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। জুটি বেঁধেছেন অনেক নায়িকার সঙ্গে। আলিয়া ভাটের সঙ্গেও রোমান্সের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ইমরান হাশমিকে। তবে তা প্রত্যাখান করেন এই তারকা অভিনেতা।
২০১৬ সালে আলিয়া ভাটের বিপরীতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় ইমরান হাশমিকে। এক সাক্ষাৎকারে এই প্রস্তাব ফেরানোর কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি। ইমরান হাশমি বলেছিলেন, “আমি ভাই হিসেবে তার সঙ্গে কাজ করতে পারি, অন্য কোনো কিছু আমাকে পীড়া দেবে। আমি আমার কাজিনের সঙ্গে রোমান্স করতে পারি না। আমার মনে হয় না এমনটা কেউ করেছে, এটা অস্বস্তিকর।”
আরো পড়ুন:
ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার কবলে সোনু সুদের স্ত্রী
মা হলেন অ্যামি জ্যাকসন
ব্যক্তিগত জীবনে ইমরান হাশমি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আলিয়া ভাট হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করেন। এসব সমীকরণ মিলিয়ে কেউ কখনো ভাবতেই পারেননি আলিয়া ভাট-ইমরান হাশমি সম্পর্কে চাচাত ভাই-বোন। আলিয়া ভাট-ইমরান হাশমির সম্পর্কের যোগসূত্র কোথায়?
টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, ইমরান হাশমির দাদি মেহেরবানু মোহাম্মদ আলী (পূর্ণিমা দাস ভার্মা নামে জনপ্রিয় ছিলেন)। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট ও মুকেশ ভাটের মা শিরিন মোহাম্মদ আলীর বোন মেহেরবানু। শিরিন-মেহেরবানুর মা ছিলেন লখনৌর বাসিন্দা এবং তিনি একজন মুসলিম ছিলেন। আর তাদের বাবা ছিলেন তামিল ব্রাহ্মণ রাম শেষাদ্রি আয়াঙ্গার। আলিয়া ভাট মহেশ ভাটের কন্যা। মহেশ ভাট ইমরান হাশমির কাকা আর আলিয়া তার চাচাত বোন।
মেহেরবানু প্রথমে ইমরান হাশমির দাদা সৈয়দ শওকত হাশমিকে বিয়ে করেন। কিন্তু এ বিয়ে ভেঙে যায়। পরে প্রযোজক-পরিচালক ভগবান দাস ভার্মার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মেহেরবানু বা পূর্ণিমা দাস বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী ছিলেন। দাদির পথ অনুসরণ করে অভিনয়ে পা রাখেন ইমরান হাশমি।
ইমরান হাশমি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টাইগার থ্রি’। ‘টাইগার’ ফ্র্যাঞ্চাইজির এ সিনেমা ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়। এতে আইএসআই-এর প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেলের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান তিনি।
বর্তমানে ইমরান হাশমির হাতে তেলেগু ভাষার ‘ওজি’ সিনেমার কাজ রয়েছে। সুজিত পরিচালিত এ সিনেমায় আরো অভিনয় করছেন— পবন কল্যাণ, প্রকাশ রাজ, অর্জুন দাস প্রমুখ। ২৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে অ্যাকশনার ঘরানার এই সিনেমা। তা ছাড়াও তেলেগু ভাষার ‘জি-টু’, ‘গ্রাউন্ড জিরো’, ‘আওয়ারাপান টু’ সিনেমার কাজও ইমরান হাশমির হাতে রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল য় ভ ট ম হ রব ন
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।