ইসলামিক সোসাইটি অব নারায়ণগঞ্জের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬শে মার্চ বুধবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের আলম খান লেন এলাকায় এ  ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল জয়নুল আবেদীন বলেন রমজান আমাদের জন্য যে বার্তা নিয়ে এসেছে আমরা তা কতটুক অর্জন করতে পারলাম নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলেই উত্তর পেয়ে যাবো। আর যদি রমজানের সঠিক আমল করতে ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের মতো অভাগা আর নেই। এসময় তিনি আরো বলেন স্বৈরাচারী সরকারের আমলে দীর্ঘ দিন যাবত কোন প্রোগ্রামে যেতে পারিনি। এই সোসাইটি ভবনেও আসতে পারিনি।

এসময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরী সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ, মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবু জাফর আহমেদ বাবুল, সমাজ সেবক ইকবাল হোসেন শ্যামল, শহিদ বাঙালী প্রমূখ।

 

ইসলামিক সোসাইটি অফ নারায়ণগঞ্জের সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শামসুল হকের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, ইসলামিক সোসাইটি অফ এডুকেশন ট্রাস্টের পরিচালক প্রফেসর  ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খন্দকার খোরশেদ আলম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক ফুটবল খেলোয়াড় পোকন হাজী, মডেল গ্রুপের ডেভলেপমেন্ট এজিএম মনির হোসেন, খবরের পাতা সম্পাদক এড.

মাহাবুব রহমান মাসুম সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র ন র য ণগঞ জ অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২