মধ্যযুগের স্থাপনার অনন্য নিদর্শন নারায়ণগঞ্জের বন্দর শাহি মসজিদ
Published: 27th, March 2025 GMT
শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অবস্থিত বন্দর শাহি মসজিদ। মধ্যযুগের স্থাপত্যকলার অনন্য নিদর্শন এই মসজিদ। কালো ব্যাসেল্ট পাথরের মসজিদের গায়ে লাগানো শিলালিপিতে মসজিদের নির্মাতা ও নির্মাণকাল সম্পর্কে জানা যায়, ১৪৮১-৮৮ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান জালাল উদ্দিন ফতেহ শাহের রাজত্বকালে মালিক আল মুয়াজ্জেম বাবা সালেহ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
১৯২০ সালের ২৬ নভেম্বর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটি সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রাচীন এই মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেছেন। মসজিদটিতে স্থানসংকুলান না হওয়ায় পূর্ব দিকে স্থানীয় উদ্যোগে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বারান্দা নির্মাণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ঝুঁকির কারণে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ পাশে নতুন তিনতলা মসজিদ নির্মাণ করা হলে প্রাচীন মসজিদটিতে নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৫৫০ বছর আগে নির্মিত মসজিদটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ বহু মানুষ আসেন।
চুন-সুরকি দিয়ে ইটের তৈরি বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ এটি। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টভুজাকৃতি বুরুজ এবং তার ওপর ছত্রী আছে। চার কাতারে প্রাচীন মসজিদটিতে একসঙ্গে ৬০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারতেন। বর্তমানে নতুন মসজিদে একসঙ্গে ৫০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।
৩৪ বছর ধরে বন্দর শাহি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর ন মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম মানিক ও বিএনপি-সমর্থক রুহুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাবলু (৩০) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। তাঁকে খানপুরের ৩০০ শয্যা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহ আলম মানিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বাড়ির সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ রুহুল আমিন ৫০-৬০ জন অস্ত্রধারী সহযোগী নিয়ে এসে অতর্কিতে হামলা চালায়। শুনেছি, তাঁরা কয়েকটি গুলি ছোড়ে। তবে কেন এই হামলা করেছে, তা আমি জানি না।’
অন্যদিকে রুহুল আমিন বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মানিক বাবলুকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। আমরা জানতে গেলে মানিক পালিয়ে যায়। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো হামলা হয়নি; বরং মানিক মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।