শিবালয়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আড়াইশ বছরের পুরোনো বারুণীর স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যমুনা নদীর তীরে এ স্নান করার জন্য ভারতসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখো পুণ্যার্থী জড়ো হন। এ উপলক্ষে নদীতীরে হাজারো পুণ্যার্থীর উপস্থিতি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

স্নান উপলক্ষে মাসব্যাপী গ্রাম্যমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এতে খই, বিন্নি, কসমেটিকস, নাগরদোলা, ফার্নিচারের দোকানসহ পাঁচ শতাধিক দোকান বসেছে। এ উপলক্ষে এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

যমুনা নদীর তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীদের নির্বিঘ্নে স্নান করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন বলেন, বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্নান করতে আসা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আরুতী সাহা, কবিতা মণ্ডল, অঞ্জনা সরকার, মিনু দে, পাখি বসু, লিপি সরকার ও সরস্বতী ঘোষ জানান, তারা প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে শিবালয় যমুনা নদীর তীরে বারুণীর স্নান করে আসছেন। প্রতি বছর এভাবে পুণ্য লাভ করছেন। এভাবে হাজার হাজার পুণ্যার্থী পুণ্য লাভ করেন। 

শিবালয় বন্দর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, বারুণীর স্নান শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি নিখিল মালো জানান, এবারও বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের মধ্যে গঙ্গা পূজার প্রসাদ বিতরণ করেছেন তারা।

শিবালয় থানার ওসি মো.

কামাল হোসেন বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিরাপদে বারুণীর স্নান করার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ইউএনও মো. জাকির হোসেন বলেন, বারুণীর স্নান উপলক্ষে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন ন উপলক ষ স ন ন কর ব যবস থ ন বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন