রাজধানীর ধানমন্ডিতে এম এ হান্নান আজাদ নামের এক জুয়েলারি ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেওয়া ডাকাতদের ধরতে সহযোগিতা করার পুরস্কার পাচ্ছেন এক নিরাপত্তাকর্মীসহ ছয় জন। তাদেরকে পুলিশের অক্সিলারি ফোর্সে যুক্ত করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ডাকাত ধরায় সহযোগিতার জন্য ডিএমপি কমিশনারের পক্ষ থেকে ছয় জনকে পুরস্কৃত করা হবে। তারা যে সাহস দেখিয়েছেন, তার প্রতিদান হিসেবেই এ পুরস্কার দেওয়া হবে। এতে অপরাধীদের ধরতে কিংবা আইনের আওতায় আনতে অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ উৎসাহ পাবেন। ওই ছয় জনের নাম ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছেন ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তারা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। শনিবার (২৯ মার্চ) তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের অক্সিলারি ফোর্সে যুক্ত করা হতে পারে।

ওই ছয় ব্যক্তির মধ্যে মো.

বিজয় নিরাপত্তাকর্মী। বাকি পাঁচ জন একটি বায়িং হাউজের শ্রমিক। তারা হলেন—মো. টনি, মো. স্বপন ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম, মো. সিয়াম এবং মো. দেলোয়ার হোসেন। তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, তারা থানায় নাকি কোনো এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

ঢাকা/এমআর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

সেই আছিয়ার পরিবারকে গরু ও ঘর দিল জামায়াত

মাগুরায় যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আলোচিত শিশু আছিয়ার পরিবারকে দুটি গরু ও একটি গোয়ালঘর উপহার দেওয়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষ থেকে আছিয়ার পরিবারকে এ উপহার দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উপহার হস্তান্তর করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।

এ সময় জেলা জামায়াতের আমির এম বি বাকের, সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় এবং জেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

গত ১৫ মার্চ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আছিয়ার বাড়িতে যান। তিনি শিশুটির মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত বিচার চান। সে সময় আছিয়ার পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে একটি গোয়াল ঘর এবং দুটি গরু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জামায়াতের আমির। 

আট বয়সী আছিয়া মাগুরার নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ ওঠে। গত ৬ মার্চ অচেতন অবস্থায় মাগুরার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি হলে মাগুরা হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে সেদিন সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়া হয় এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুই দিন পর ৮ মার্চ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আছিয়ার।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ