এক কেজি লাচ্ছা সেমাইয়ের দাম ২ হাজার টাকা
Published: 29th, March 2025 GMT
ঈদ এলে সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বেড়েছে পণ্যটির চাহিদা। এর জেরে দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজার আর সুপারশপ ঘুরে ব্র্যান্ড, ওজন আর মানভেদে একেকটি সেমাইয়ের প্যাকেট ৪৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ২ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেল।
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর এলাকার সুপারশপ ইউনিমার্টে বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, খাস ফুড সিগনেচার সিরিজের ৪০০ গ্রামের একেকটি লাচ্ছা সেমাইয়ে প্যাকেট ৭৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে পণ্যটির প্রতি কেজির দাম পড়ে প্রায় ২ হাজার টাকা। কথা বলে জানা গেল, এই লাচ্ছা সেমাই ঘিয়ে ভাজা। তাই দামও কিছুটা বেশি। এ ছাড়া এই সুপার শপে অন্যান্য ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রামের প্যাকেটজাত সেমাই ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
একই এলাকায় স্বপ্ন সুপারশপে গিয়ে দেখা যায়, ড্যান ফুডসের প্রতি কেজি প্রিমিয়াম লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০ টাকায়। এখানে এটাই সবচেয়ে বেশি দামের সেমাই।
গুলশান-১ ও বনানী এলাকায় কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাইয়ের ৪০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। ভারতীয় একটি ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাইয়ের ২০০ গ্রামের প্যাকেট ২৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেল। এ ছাড়া অলিম্পিয়া লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রামের প্যাকেট ৩৭০ টাকায়, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাইয়ের ২৫০ গ্রামের প্যাকেট ১০০ টাকায় এবং কুলসনের ১৮০ গ্রামের প্যাকেট ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুনকুমিল্লায় ঈদকে সামনে রেখে সেমাই তৈরির ধুম৩ ঘণ্টা আগেমেট্রো ব্র্যান্ডের ১০০ গ্রামের একেকটি প্যাকেজজাত লাচ্ছা সেমাই ৫০ টাকা, কিশোয়ানের ২০০ গ্রাম প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাই ৭৫ টাকা এবং কুলসনের ২০০ গ্রামের লাল সেমাইয়ের প্যাকেট ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেল।
বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি প্যাকেট সেমাইয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সেমাই মূলত ঈদুল ফিতরে বেশি বিক্রি হয়। অনেকটা মৌসুমি পণ্য হওয়ায় এর দাম ওঠানামা নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারিও তুলনামূলক কম।
ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, সেমাই তৈরির প্রধান উপাদান ময়দা, সুজি, চিনি আর তেলের দাম বাড়তি থাকার কারণে এবার সেমাইয়ের দাম কিছুটা বেড়েছে।
খাস ফুড সিগনেচার সিরিজের ৪০০ গ্রামের একেকটি লাচ্ছা সেমাইয়ের প্যাকেট ৭৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ২০০ গ র ম
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল