ঈদ এলে সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বেড়েছে পণ্যটির চাহিদা। এর জেরে দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। রাজধানী ঢাকার কয়েকটি বাজার আর সুপারশপ ঘুরে ব্র্যান্ড, ওজন আর মানভেদে একেকটি সেমাইয়ের প্যাকেট ৪৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ২ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেল।

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর এলাকার সুপারশপ ইউনিমার্টে বৃহস্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, খাস ফুড সিগনেচার সিরিজের ৪০০ গ্রামের একেকটি লাচ্ছা সেমাইয়ে প্যাকেট ৭৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই হিসাবে পণ্যটির প্রতি কেজির দাম পড়ে প্রায় ২ হাজার টাকা। কথা বলে জানা গেল, এই লাচ্ছা সেমাই ঘিয়ে ভাজা। তাই দামও কিছুটা বেশি। এ ছাড়া এই সুপার শপে অন্যান্য ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রামের প্যাকেটজাত সেমাই ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

একই এলাকায় স্বপ্ন সুপারশপে গিয়ে দেখা যায়, ড্যান ফুডসের প্রতি কেজি প্রিমিয়াম লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০ টাকায়। এখানে এটাই সবচেয়ে বেশি দামের সেমাই।

গুলশান-১ ও বনানী এলাকায় কয়েকটি দোকান ঘুরে দেখা যায়, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাইয়ের ৪০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। ভারতীয় একটি ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাইয়ের ২০০ গ্রামের প্যাকেট ২৪৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেল। এ ছাড়া অলিম্পিয়া লাচ্ছা সেমাই ৫০০ গ্রামের প্যাকেট ৩৭০ টাকায়, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাইয়ের ২৫০ গ্রামের প্যাকেট ১০০ টাকায় এবং কুলসনের ১৮০ গ্রামের প্যাকেট ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুনকুমিল্লায় ঈদকে সামনে রেখে সেমাই তৈরির ধুম৩ ঘণ্টা আগে

মেট্রো ব্র্যান্ডের ১০০ গ্রামের একেকটি প্যাকেজজাত লাচ্ছা সেমাই ৫০ টাকা, কিশোয়ানের ২০০ গ্রাম প্যাকেটজাত লাচ্ছা সেমাই ৭৫ টাকা এবং কুলসনের ২০০ গ্রামের লাল সেমাইয়ের প্যাকেট ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেল।

বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি প্যাকেট সেমাইয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। সেমাই মূলত ঈদুল ফিতরে বেশি বিক্রি হয়। অনেকটা মৌসুমি পণ্য হওয়ায় এর দাম ওঠানামা নিয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারিও তুলনামূলক কম।

ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, সেমাই তৈরির প্রধান উপাদান ময়দা, সুজি, চিনি আর তেলের দাম বাড়তি থাকার কারণে এবার সেমাইয়ের দাম কিছুটা বেড়েছে।

খাস ফুড সিগনেচার সিরিজের ৪০০ গ্রামের একেকটি লাচ্ছা সেমাইয়ের প্যাকেট ৭৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ২০০ গ র ম

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ