দুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোরে
Published: 29th, March 2025 GMT
দুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোরে। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণাধীন আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন ধরে তাপদাহে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষ করে এদিন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষদের গরমে ভোগান্তি পোহাতে দেখা গেছে। তবে দাবদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা। চাইলেই গরমে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই তাদের। জীবিকার তাগিদে তীব্র গরমের মধ্যেও কষ্ট করতে হচ্ছে তাদের। গরমের কারণে কমেছে তাদের আয়ও।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ আবহাওয়া কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইতে থাকায় জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। তীব্র গরম অনুভূত হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। বিশেষ প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ ছাতা মাথায় অথবা রিকশায় চলাচল করলেও সে সংখ্যা খুবই কম।
আর কয়েক দিন পর ঈদুল ফিতর। বিগত বছরগুলোতে ঈদকে সামনে রেখে শহরের বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি এবং বিপণিবিতানগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা চললেও এ বছর গরমের কারণে শহরে দিনের বেলায় মানুষের উপস্থিতি কম।
চলমান তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে তারা মাথায় টুপি অথবা গামছা পরে চলাচল করছেন। কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা ক্লান্ত দেহ নিয়ে ছায়ায় বিশ্রাম করছেন।
কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আলতাপ হোসেন বলেন, 'তাপপ্রবাহের কারণে বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি তুলনামূলকভাবে কম। যে কারণে বেচাকেনায় প্রভাব পড়েছে।
তবিবর নামে এক রিকশাচালক বলেন, গরমে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। জীবিকার তাগিদে বের হতে হচ্ছে আমাদের। পিচের তাপের আঁচ মুখে লাগছে; মনে হচ্ছে মুখ পুড়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত বছরের ৩০ জুনে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। এর আগে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৮ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৫ জুন) উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের চরপ্রসন্নদী এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশ থেকে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘‘মহাসড়কের পাশে অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’’
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
দাফনের ২৫ বছর পরও কবরে অক্ষত লাশ!
ঢাকা/বাদল/রাজীব