পায়ের জাদুতে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা মাঠের সবুজে সুন্দর ফুটবলের ফুল ফোটান। যুগে যুগে দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল উপহার দিয়েছে পেলে, ম্যারাডোনা, রোনালদো নাজারিও, লিওনেল মেসি, রোনালদিনিও, নেইমারদের মতো সৃষ্টিশীল ফুটবলার।

এই দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলেই আবার দেখা যায় মাঠের মধ্যে মারামারি, ঘটে কত ধরনের ঘটনা। কখনো এমন খবরও আসে যে রেফারি নিজেকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছেন পকেটে পিস্তল নিয়ে। গতকাল তেমন কিছু ঘটেনি। তবে পেরু কাপের ম্যাচে রেফারি নিজেকে বাঁচাতে একটি দলের কোচিং স্টাফের এক সদস্যকে লাথি মেরেছেন।

পেরু কাপে দেশটির সব অঞ্চলের ক্লাব অংশ নেয়। এখানে খেলেই দেশের শীর্ষ লিগে জায়গা করে নেয়। প্রায় প্রতিবছরই এই টুর্নামেন্টে অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। গতকাল স্পোর্ত হুয়াকিয়া ও মাগদালেনার মধ্যকার ম্যাচে তেমনই এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে।

ম্যাচ তখন শেষের দিকে। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৭ মিনিটের খেলা চলছিল। নিজেদের মাঠে হুয়াকিয়া এগিয়ে ছিল ২–১ গোলে। এমন সময় হঠাৎ রেফারির দিকে একটি বোতল নিয়ে তেড়ে যান মাগদালেনার কোচিং দলের একজন। মাঠে ঢুকে তিনি রেফারির দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে রেফারিও দৌড়ে এসে কোচিং দলের ওই সদস্যের ঘাড়ে জোরেশোরে লাথি মারেন। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান ওই কোচ।

এ ঘটনার পর রেফারিকে বাঁচাতে পুলিশ মাঠে চলে আসে। ঝামেলাপূর্ণ কিছু সময় কাটানোর পর ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড়ে সীমান্ত এলাকা থেকে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার

পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বাড়ি থেকে রাজু ইসলাম (৩৫) নামের এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা। তবে ওই সীমান্তে বিএসএফের গুলির কোনো খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় সদর থানা-পুলিশ। নিহত রাজু ইসলামের বাড়ি সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ঝুলিপাড়া এলাকায়। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর তিন ছেলেমেয়ে আছে।

নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, রাজু গতকাল শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলেন। এরপর তিনি কখন বাইরে গেছেন, স্বজনদের কেউ জানেন না। রাত তিনটার দিকে তাঁকে কে বা কারা বাড়ির বাইরে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। এ সময় তাঁর চিৎকারে স্বজনেরা ঘুম থেকে উঠে আহত অবস্থায় তাঁকে দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে দেবীগঞ্জ উপজেলার কাছাকাছি গেলে তিনি মারা যান। পরে লাশ বাড়িতে আনা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, প্রথম দিকে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজু স্ট্রোক (মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ) করে মারা গেছেন। পরে তিনি গিয়ে দেখেন, তাঁর দুটি পায়ের হাঁটু ও আশপাশে গুলির চিহ্ন। ভারত সীমান্তে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে তিনি মারা গেছেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। কারণ, তাঁর পায়ে স্পষ্ট গুলির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, সকালে বিষয়টি জানাজানির পর বাড়িতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গেছে।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মো. বদরুদ্দোজা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে ওই এলাকায় বিজিবির দুটি টহল দল দায়িত্বরত ছিল। তখন সীমান্তে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিএসএফও গুলি করেনি বলে জানিয়েছে। এমনকি পরিবার থেকে প্রথম দিকে তাঁদের জানানো হয়, তিনি হৃদ্‌রোগে মারা গেছেন। তবে তিনি যে আহত হয়েছেন, সেটা সীমান্ত এলাকায় হয়েছেন নাকি বাংলাদেশের ভেতরে হয়েছেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শইমী ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন আছে, সেটি তাঁরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। তবে গুলি কারা করেছে বা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ