ঢাকায় বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
Published: 1st, April 2025 GMT
ঈদের পরদিন ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে চলাচলকারী বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঢাকার বিভিন্ন রুটের বাসের যাত্রীরা অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জ, সদরঘাট, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, রায়েরবাগ, মিরপুর, গাবতলী—যেখান থেকেই যাত্রীরা উঠুক না কেন নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। দিতে না চাইলে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
অন্যদিকে, বাসচালক ও সহকারীদের দাবি, ঈদ উপলক্ষে এ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এটাকে ‘ঈদ বোনাস’ বলছেন তারা।
‘দিশারী’ পরিবহনের বাসের যাত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘‘ঈদে সরকারি ছুটি হওয়ার দিন থেকেই বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। ঈদের দিনও নিয়েঠে। আজও জোর করে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে দিশারী বাসে গুলিস্তান ১০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা। এগুলো কী দেখার কেউ নেই?”
তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ জিম্মি। অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।”
দিশারী পরিবহনের সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, “ঈদের আনন্দ সবার জন্য। আমাদের পরিবার আছে। বাস মালিক তো আমাদের বোনাস দেয় না। ঈদের ছুটিতেও ছেলে-মেয়ে রেখে যাত্রীদের সেবা দিচ্ছি। তাদের কাছ থেকে ঈদ বোনাস চেয়ে নিচ্ছি। সবার কাছে চাই, যে খুশিতে দেয় তার কাছ নিচ্ছি। যিনি দিতে চান না তার কাছ থেকে নিচ্ছি না।”
বুসন্ধরা থেকে ‘ভিক্টর’ পরিবহনে গুলিস্তান এসেছেন গোলাম মোস্তফা বাবুল। তিনি বলেন, “৩০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি ভাই অল্প আয়ের মানুষ। নিজেই বোনাস পাই নাই। বাসে রোজ তিনবার উঠতে হয়। যত বার উঠেছি তত বার বোনাস দিতে হয়েছে।”
সামিয়া নামে আরেক যাত্রী বলেন, “বাসে উঠলে আর নামলেই ১০ টাকা ভাড়া। এখন দিতে হচ্ছে ২০ টাকা করে।”
‘সাভার’ পরিবহনে গোলাম হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, “ঈদ বোনাস নামে বাড়তি ভাড়া না দিলে খারাপ আচারণ করে। মন চাই না তারপরেও বাড়তি ভাড়া দিচ্ছি।”
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.
ঢাকা/এএএম/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?
মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন
তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।
২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।
উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”
বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।
ঢাকা/রাহাত/মেহেদী