বন্দরে সন্ত্রাসী হামলায় বসত বাড়ি ও মুদি দোকান ভাংচুর, লুটপাট
Published: 3rd, April 2025 GMT
বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১টি বসত বাড়ি ও ১টি মুদি দোকানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় আহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও দোকান ও বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ৭২ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ধলেরশ্বরী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মুদি দোকানি শাফিয়া বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন রাতে সৌরভ, তোয়াশিন, মাজেদুল, সিফাত ও আবিদসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ধলেরশ্বরী এলাকার মৃত হবিনূর মিয়ার স্ত্রী মুদি দোকানী শাফিয়া বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে সৌরভের সাথে দীর্ঘ ধরে বিরোধ চলছিল।
এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রতিপক্ষ সৌরভের নেতৃত্বে চুনাভূরা এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তোয়াশিন, চর ধলেরশ্বরী এলাকার আতিকুল্লাহ মিয়ার ছেলে মাজেদুল ও ঘারমোড়া এলাকার শিপন ওরফে বাহেমুইক্কা মিয়ার ছেলে সিফাত ও জাকির হোসেনের ছেলে আবিদসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাফিয়া বেগমের বসতবাড়ি এবং মুদি দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়।
ওই সময় সকল হামলাকারিরা মুদি দোকানে কুপিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন সহ ৩০ হাজার টাকার মালামাল ও ক্যাশ বক্স থেকে নগদ সাত হাজার বিশ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ছাড়াও সকল হামলাকারিরা বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে ১৭ হাজার) টাকা মুল্যের বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল টপ ট এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব
পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।
জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’
চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।
ঢাকা/ফিরোজ