বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১টি বসত বাড়ি ও ১টি মুদি দোকানে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় আহতের কোন সংবাদ পাওয়া না গেলেও দোকান ও বসত বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে  ৭২ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করার খবর পাওয়া গেছে। 

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ধলেরশ্বরী এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ মুদি দোকানি শাফিয়া বেগম বাদী হয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার ওই দিন রাতে সৌরভ, তোয়াশিন, মাজেদুল, সিফাত ও আবিদসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ধলেরশ্বরী এলাকার মৃত হবিনূর মিয়ার স্ত্রী মুদি দোকানী শাফিয়া বেগমের সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকার সোহেল মিয়ার ছেলে সৌরভের সাথে দীর্ঘ ধরে বিরোধ চলছিল। 

এ ঘটনার জের ধরে গত বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রতিপক্ষ সৌরভের নেতৃত্বে চুনাভূরা এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে তোয়াশিন, চর ধলেরশ্বরী এলাকার আতিকুল্লাহ মিয়ার ছেলে মাজেদুল ও ঘারমোড়া এলাকার শিপন ওরফে বাহেমুইক্কা মিয়ার ছেলে সিফাত ও জাকির হোসেনের ছেলে আবিদসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শাফিয়া বেগমের  বসতবাড়ি এবং মুদি দোকানে অতর্কিত হামলা চালায়।

ওই সময় সকল হামলাকারিরা মুদি দোকানে কুপিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন সহ ৩০ হাজার টাকার মালামাল ও ক্যাশ বক্স থেকে নগদ সাত হাজার বিশ টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

এ ছাড়াও  সকল হামলাকারিরা বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে ১৭ হাজার) টাকা মুল্যের বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ল টপ ট এল ক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডাকসুর নির্বাচনে নতুন চার সম্পাদকীয় পদ যুক্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ডাকসুর সংশোধিত বিধিমালায় নতুন করে চারটি পদ যুক্ত করা হয়েছে। ডাকসুর উদ্দেশ্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের পাশাপাশি চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা প্রতিষ্ঠার কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

বিধিমালার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশ হিসেবে এবার যে চারটি নতুন সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো, ছাত্র সংসদে–গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক। এ সম্পাদকরা শিক্ষার্থীদের জন্য কর্মশালা, সেমিনার, সম্মেলন, গবেষণা জার্নাল, চাকরি মেলা, স্বাস্থ্যসচেতনতা কার্যক্রম এবং মানবাধিকারবিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রত্যেক আবাসিক হল বা ক্যাম্পাসের উপযুক্ত স্থানে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সংশ্লিষ্ট হলে সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে ভোট দিতে পারবেন। ফলাফল ঘোষণার পর কেউ আপত্তি জানাতে চাইলে তিন কর্মদিবসের মধ্যে উপাচার্যের কাছে তা দাখিল করতে হবে। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কমিশন গঠন এবং সংশোধিত বিধিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়। উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন। উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তার জন্য আরও ৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাখা হয়েছে। 

তারা হলেন– মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মহিউদ্দিন; সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী; তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক; উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম; স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা; ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম (শহীদুল জাহীদ); বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর। 

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন সমকালকে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার পর বাকিদের নিয়ে সভা করে উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনের তারিখসহ যাবতীয় বিষয় এগিয়ে নেব। নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে– ক. ছাত্র সংসদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও লালন করা। খ. বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানসহ বাংলাদেশের ইতিহাসে সংঘটিত সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা। গ. পাঠ্য ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ উৎকর্ষ অর্জনে সহযোগিতা করা। 

নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী, যারা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়ে বর্তমানে স্নাতক, মাস্টার্স বা এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত এবং কোনো আবাসিক হলে অবস্থানরত বা সংযুক্ত, তারাই ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন। সান্ধ্যকালীন, পেশাদার, এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট ও ভাষা কোর্সের শিক্ষার্থীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ও সংযুক্ত কলেজ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ