Samakal:
2025-09-18@07:50:48 GMT

পানি যখন ফোনে

Published: 6th, April 2025 GMT

পানি যখন ফোনে

হুট করেই পানি ঢুকে যেতে পারে ডিভাইসে। মুহূর্তেই যেন আনন্দে ভাটা। যদি নিজের হাতের স্মার্টফোন ভিজে যায় বা পানিতে পড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে বড় ঝামেলায় পড়তে হবে। টাকাও খরচ হতে পারে। তবে বড় ঝামেলার আগে নিজের বুদ্ধিতে কিছু পদক্ষেপ তো নেওয়াই যায়। নির্ধারিত কয়েকটি নিয়ম মানলে ভেজা ফোনও হতে পারে সচল। কীভাবে তা জানা প্রয়োজন।
কী করবেন
প্রথমত, যে কোনো ডিভাইস ভিজে গেলে তাৎক্ষণিক তা বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে শর্টসার্কিটের ঝুঁকি কমে যাবে।
দ্বিতীয়ত, ফোনের কাভার, সিমকার্ড ও মেমোরি কার্ড খুলে দ্রুত তা শুকিয়ে নিতে হবে।
ভিজে যাওয়া ডিভাইসটি পরিষ্কার ও শুকনা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলতে হবে। এতে ভেতরে জমে থাকা পানি মুছে যাবে। যদি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকে, তাহলে তা দিয়ে ফোন থেকে পানি শুকিয়ে নেওয়া ভালো। অনেকে ভুল করে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। ভুলেও কাজটি করা যাবে না। কারণ, গরম হাওয়ায় ফোনের সব সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
ভিজে যাওয়া ডিভাইসটি অপেক্ষাকৃত শুকনা আবহে প্রয়োজনে কয়েক ঘণ্টা রাখতে হবে, যেন ভেতরের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। ডিভাইস শুকিয়ে গেলে ফোনটি প্রথমে চালু করতে হবে। যদি এতে ভিজে যাওয়া ডিভাইস সচল না হয়, তাহলে দ্রুত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। যদি ডিভাইসের স্পিকার অংশের ফুটোতে পানি ঢুকে যায়, তাহলে কটন বাড দিয়ে তাৎক্ষণিক তা পরিষ্কার করে নেওয়াই শ্রেয়। যদি ডিভাইস একেবারে সুইমিংপুল বা পানির ভেতরে পুরোপুরি ডুবে যায়, তাহলে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত পরিষেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বদলীর পরও কুমিল্লায় বহাল এএসপি শামীম

বদলীর আদেশ কার্যকর হওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কুমিল্লা ছাড়েননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়া। দিনাজপুর ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে যোগদানের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি এখনও কুমিল্লাতেই দায়িত্ব পালন করছেন। 

বহাল থাকার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তাদেরকে মামলার হুমকি দেন কুমিল্লার চাঁদাবাজির অডিও ফাঁস হওয়ায় ঘটনায় আলোচিত এএসপি মো. শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়া।

বদলির কারণ প্রসঙ্গে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়া বলেন, “আমি অসুস্থ, আমি বক্তব্য দিতে পারব না। আমার বিরুদ্ধে কোন নিউজ করলে মামলা করে দিব। সাংবাদিক সম্মেলন করব। আপনি নিউজ করেন, আমি দেখে নিব।”

সম্প্রতি দুটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটিতে তাকে ব্যক্তিগত কারণে দায়িত্বে অনীহা প্রকাশ করতে শোনা যায়। অপরটিতে সার্জেন্ট ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টরদের (টিআই) নির্দেশ দিতে শোনা যায়, বাসস্ট্যান্ড থেকে সংগৃহীত টাকা সরাসরি তার ঘনিষ্ঠদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

গত ২০ আগস্ট পুলিশ সদর দপ্তরের প্রজ্ঞাপনে শামীম কুদ্দুছ ভূঁইয়াকে কুমিল্লা থেকে বদলি করে দিনাজপুরে পাঠানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত করা হবে। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি।

চলতি বছরের আগস্টে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে এসব অভিযোগ তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ নজির আহমেদ বলেন, “জনস্বার্থে তাকে বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের হুমকির বিষয় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রুবেল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ