হুট করেই পানি ঢুকে যেতে পারে ডিভাইসে। মুহূর্তেই যেন আনন্দে ভাটা। যদি নিজের হাতের স্মার্টফোন ভিজে যায় বা পানিতে পড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে বড় ঝামেলায় পড়তে হবে। টাকাও খরচ হতে পারে। তবে বড় ঝামেলার আগে নিজের বুদ্ধিতে কিছু পদক্ষেপ তো নেওয়াই যায়। নির্ধারিত কয়েকটি নিয়ম মানলে ভেজা ফোনও হতে পারে সচল। কীভাবে তা জানা প্রয়োজন।
 কী করবেন
 প্রথমত, যে কোনো ডিভাইস ভিজে গেলে তাৎক্ষণিক তা বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে শর্টসার্কিটের ঝুঁকি কমে যাবে।
 দ্বিতীয়ত, ফোনের কাভার, সিমকার্ড ও মেমোরি কার্ড খুলে দ্রুত তা শুকিয়ে নিতে হবে।
 ভিজে যাওয়া ডিভাইসটি পরিষ্কার ও শুকনা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুছে ফেলতে হবে। এতে ভেতরে জমে থাকা পানি মুছে যাবে। যদি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার থাকে, তাহলে তা দিয়ে ফোন থেকে পানি শুকিয়ে নেওয়া ভালো। অনেকে ভুল করে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। ভুলেও কাজটি করা যাবে না। কারণ, গরম হাওয়ায় ফোনের সব সার্কিট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
 ভিজে যাওয়া ডিভাইসটি অপেক্ষাকৃত শুকনা আবহে প্রয়োজনে কয়েক ঘণ্টা রাখতে হবে, যেন ভেতরের পানি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। ডিভাইস শুকিয়ে গেলে ফোনটি প্রথমে চালু করতে হবে। যদি এতে ভিজে যাওয়া ডিভাইস সচল না হয়, তাহলে দ্রুত সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে। যদি ডিভাইসের স্পিকার অংশের ফুটোতে পানি ঢুকে যায়, তাহলে কটন বাড দিয়ে তাৎক্ষণিক তা পরিষ্কার করে নেওয়াই শ্রেয়। যদি ডিভাইস একেবারে সুইমিংপুল বা পানির ভেতরে পুরোপুরি ডুবে যায়, তাহলে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত পরিষেবা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
  
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন