Samakal:
2025-05-01@00:22:06 GMT

প্রভাব কম দেশের শেয়ারবাজারে

Published: 6th, April 2025 GMT

প্রভাব কম দেশের শেয়ারবাজারে

ট্রাম্প প্রশাসনের বাড়তি শুল্ক আরোপ ইস্যুতে টালমাটাল বিশ্বের সব শেয়ারবাজার। রীতিমতো ধস নেমেছে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে। বড় পতন হচ্ছে ইউরোপের বাজারেও। ঈদের টানা ছুটি শেষে লেনদেন শুরু হলে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও পতনের শঙ্কায় ছিলেন অনেক বিনিয়োগকারী। আদতে তেমনটি হয়নি। ঢাকার শেয়ারবাজারে বেশির ভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে বটে; তবে পতনের হার ছিল কম। ফলে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায়ও সূচক কম পয়েন্ট হারিয়েছে।
টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে গতকাল রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা মাত্র শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ হারিয়ে ৫২০৫ পয়েন্টে নেমেছে। এ পতন গত ২৩ মার্চের তুলনায়ও কম। ওই দিন সূচকটি হারিয়েছিল ১৮ পয়েন্টের বেশি।  
অন্যদিকে দ্বিতীয় শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান মূল্য সূচক সিএসসিএক্স শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ৮৮৫৪ পয়েন্টে উঠেছে। এদিন ডিএসইর লেনদেন ১০০ কোটি টাকা বেড়ে ৪১৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তারা বলেন, বিনিয়োগকারীরা সতর্ক কেনাবেচা করায় কিছু শেয়ার দর হারিয়েছে বটে; তবে তা আশঙ্কাজনক নয়।
সূচকের পতন কম হলেও উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারিয়েছে। ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ৩৫৫টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টির দর বেড়েছে, বিপরীতে ২৬০টি দর হারিয়েছে, অপরিবর্তিত ছিল ২৯টির। বিপরীত চিত্র ছিল মিউচুয়াল ফান্ড খাতে। তালিকাভুক্ত ৩৭ মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে গতকাল ৩৩টিরই দর বেড়েছে।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ শেয়ারের দর কমলেও ঢাকার বাজারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ২৯ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে। বিপরীতে ২৪ কোম্পানির শেয়ার ৫ থেকে সোয়া ৯ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে। দর হারানো কোম্পানিগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাতের প্রাধান্য ছিল।
ট্রাম্পের বাড়তি শুল্কারোপের খবরে বস্ত্র খাতের প্রায় সব শেয়ার দর হারিয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি তৈরি পোশাক। সরাসরি পোশাক রপ্তানি করে– এমন কোম্পানির সংখ্যা হাতেগোনা হলেও, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তুলা বা বস্ত্র বা অন্যান্য এক্সেসরিজ সরবরাহ লাইনে যুক্ত অনেক প্রতিষ্ঠান। ঢাকার শেয়ারবাজারে বস্ত্র খাতের অধীনে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ৫৮টি। এর মধ্যে ৫৭টি দর হারিয়েছে। গড়ে শেয়ারগুলোর দর কমেছে ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বাজার মূলধন কমেছে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বস্ত্র খাতের তালিকাভুক্ত ৫৮ কোম্পানির মধ্যে ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে ২০ কোম্পানির শেয়ার। এর মধ্যে ৭ শতাংশের ওপর দর হারিয়েছে ড্রাগন সোয়েটার, হামিদ ফেব্রিক্স, মেট্রো স্পিনিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস এবং সিমটেক্স।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দরপতন না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। দেশের মোট রপ্তানির ১৮ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া ওই দেশে রপ্তানির ৮০ শতাংশ তৈরি পোশাক, যার ৮০ শতাংশের বেশি কম মূল্যের পোশাক, যার চাহিদা কখনোই কমবে না। বরং মন্দা বা সংকটের সময় বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। কারণ অন্য দেশ আমাদের মতো কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে পারে না। ২০০৮ সালের মন্দায়ও এটা দেখা গেছে। 
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দেশের শেয়ারবাজারের দরপতন বিশ্বের বড় বাজারগুলোর মতো দরপতনের শঙ্কা দেখি না। কারণ আমাদের বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর খুব কমসংখ্যক রপ্তানি করে। এখানে বিদেশি বিনিয়োগও কম। তার পরও দরপতন যে হয়নি, তা নয়। বস্ত্র খাতের বেশ কিছু শেয়ারের দর ৫ শতাংশের ওপর কমেছে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দ শ র শ য় রব জ র শ য় র দর হ র য় ছ দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ডিইপিজেড) আজ সোমবার দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দুপুরের পর ডিইপিজেডের সব কারখানায় শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। ডিইপিজেডের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড পাওয়ারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্পটিতে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে তারা উৎপাদন করতে না পারায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে ডিইপিজেডে প্রায় ৯০টি কারখানার এক লাখের মতো শ্রমিককে ছুটি দেওয়া হয়।

বিদ্যুতের সংযোগ না থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে উল্লেখ করে মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার যদি এটি অব্যাহত থাকে, তবে সংকট আরও বাড়বে। শ্রমিকেরা কাজ না করতে পেরে বিক্ষুব্ধ হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়া এ ধরনের ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ডিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘তিতাস বলছে, ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বিল বকেয়া রয়েছে। তারা বকেয়া পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে আদালতে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে, বেপজাকে কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ করে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ধরনের পদক্ষেপের আগে ডিইপিজেডের গুরুত্ব বিবেচনা করে আলোচনার মধ্য দিয়ে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল।’

এ বিষয়ে ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্টের ব্যবস্থাপক মো. মমতাজ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের কোনো প্রেশার নেই। প্রেশার শূন্য। কিন্তু কেন তিতাস কর্তৃপক্ষ এমনটি করল, সে ব্যাপারে এখানকার (আশুলিয়া অঞ্চলের) তিতাসের লোকজন কিছু বলতে পারেননি। আমরা নিজেরাও বিষয়টি নিয়ে জানি না। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জানামতে, বকেয়া নিয়ে কোনো ধরনের মামলা নেই। তিতাস কেন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিল, সেটি জানা নেই।’

জানতে চাইলে তিতাসের আশুলিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের সিদ্ধান্ত। দুপুরের দিকে গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদানির সঙ্গে চুক্তি ক‌রে শুল্ক ফাঁকি
  • শিল্প খাতের উৎপাদন যেন ব্যাহত না হয়
  • কারাগারে গাঁজা সরবরাহ করতে গিয়ে নিজেই কারাগারে
  • ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা কী
  • ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ নেই, ৯০ কারখানায় ছুটি
  • মঙ্গলবার ৭ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব জায়গায়
  • পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত
  • পর্তুগাল ও স্পেনে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ বিপর্যয়, পর্যুদস্তু জনজীবন
  • হাসপাতালে ডায়রিয়ার প্রকোপ শয্যা ও স্যালাইন সংকট
  • বিদ্যুৎ না থাকায় ডিইপিজেডে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ