দাম্পত্য সম্পর্কে একটা সময় শীতলতা নেমে আসে। সম্পর্ককে নতুনভাবে রাঙিয়ে নেওয়াটা খুব কঠিন নয়। সম্পর্ক মানে একে অপরের প্রতি মানসিক নির্ভরতা-তাই সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মনোযোগ।

সময় দিন: সম্পর্ক রাঙিয়ে তোলার জন্য সময় বিনিয়োগ করা জরুরি। একসঙ্গে বসে গল্প করা, একে অন্যের ভালো স্মৃতিগুলো মনে করিযে দেওয়া। প্রিয়জনের ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। এমনকি স্বপ্নের কথাগুলো শোনা আর সেগুলো পূরণে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া। এই অভ্যাসটুকু গড়ে তুলতে পারলে দুজনের একসঙ্গে সময় কাটানোর প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

শারীরিকভাবে কাছে থাকুন: এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘শারীরিক দূরত্ব দুই জনের সম্পর্কের মধ্যে একটা দেয়াল তুলে দিতে পারে। তাই শুধু মানসিকভাবে নয়, শারীরিকভাবেও কাছাকাছি থাকা জরুরি।’’

আরো পড়ুন:

ছুটিতে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে যেসব ব্যায়াম করতে পারেন

ঈদের ছুটিতে সুস্থ থাকতে এই পাঁচ কাজ করবেন না

ভালোবাসা প্রকাশ করুন: দাম্পত্য সম্পর্ক মধুর করে তুলতে নানাভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করা জরুরি। সঙ্গীকে কেন ভালো লাগে, কখন বেশি ভালো লাগে, কোন হেয়ার স্টাইলে তাকে সবচেয়ে স্মার্ট লাগে, সঙ্গীর নিজস্বতা আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করে এগুলো বলুন। এই ছোট ছোট বিষয়গুলো সম্পর্ক মজবুত এবং শক্তিশালী করে তোলে।

সম্পর্কে প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব এড়িয়ে চলুন: বর্তমানে অনেক দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলছে শুধুমাত্র সঙ্গীর অতিরিক্ত ফোন ব্যবহারের প্রভাবে। কাছাকাছি থাকার পরেও একজন আরেকজনের কাছাকাছি আসার সুযোগ কমে যায়। ফোন দুইজনের মাঝে তৃতীয়জনের ভূমিকা পালন করে। এতে সম্পর্ক স্বাভাবিক মাত্রা হারিয়ে ফেলে। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?