ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসির (সিবিপি) আয়োজনে ‘স্প্রিং স্কুল অন বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালা শুরু হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। 

জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), বাংলাদেশের ডেনমার্ক দূতাবাস এবং সুইডিশ সরকার ও ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল সলিডারিটি (আইজেএস) এর সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ফিলিস্তিনের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি: সালাউদ্দিন

ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে শিবির ও ছাত্রদলে পৃথক কর্মসূচি

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নিয়াজ আহমদ খান ব্যবসা ও মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক আচরণ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার অন বাজেট অ্যান্ড পলিসি সামগ্রিকভাবে দেশের কর্মক্ষেত্রে পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো এই স্প্রিং স্কুলের আয়োজন করেছে। এ স্কুলের কার্যক্রমের সঙ্গে বিভিন্ন দাতা সহযোগী যুক্ত আছেন বলে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।”

এ সময় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, আইএলও বিশেষজ্ঞ জোসি লাপোর্তে, টেকনিক্যাল কর্মকর্তা চয়নিচ থাম্পারিপাত্রা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. কৃষ্ণ কুমার সাহা।

এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি আগামী ১১ এপ্রিল শেষ হবে। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার ৩০ জন পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেছেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম বদল

এবার একযোগে ৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার ৯ ফেব্রুয়ারির জারি করা চিঠির নির্দেশনার আলোকে ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ২১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হলো।

নাম পরিবর্তন হওয়া কলেজগুলো হলো

বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনার সরকারি জয়বাংলা কলেজ, কিশোরগঞ্জের জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ।

নাম পরিবর্তন হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনা হলো

বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, বরগুনা সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ঢাকা কলেজের শেখ কামাল হল ও লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শেখ রাসেল ছাত্রাবাস, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ লুৎফর রহমান একাডেমিক ভবন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন, শেখ কামাল প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, শেখ কামাল ছাত্রাবাস, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, নরসিংদী সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হোস্টেল, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাস, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, চাঁদপুর সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, বৃন্দাবন সরকারি কলেজে দেশরত্ন শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও শেখ ওয়াজেদ বিজ্ঞান ভবন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক কাম-এক্সামিনেশন হল, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শেখ কামাল ছাত্রাবাস, শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রনিবাস, দিনাজপুর সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, সরকারি হাজী আবদুল বাতেন কলেজের শেখ রাসেল ভবন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি বাঙলা কলেজের নবনির্মিত ভবন। এ ছাড়া যেসব সরকারি কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আছে তার নাম হবে আইসিটি ল্যাব।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এদিকে গত ২৮ মে-এর প্রজ্ঞাপনে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবস্থিত সরকারি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নামও রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম দেওয়া হয় ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম বদলের প্রতিবাদ করেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজসহ অনেকে। সমালোচনার মুখে পরে ১ জুলাই কলেজটির নাম বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

তালিকা দেখুন এখানে

আরও পড়ুনকমনওয়েলথ ফেলোশিপে আবেদনের সুযোগ, মাসে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সঙ্গে নানা সুবিধা৭ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ফি-মেধা কোটা-ভর্তির যোগ্যতা-গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বক্সিং রিংয়ে চ্যাম্পিয়ন জিনাতই, বোনকে উৎসাহ দিতে গ্যালারিতে আফঈদা
  • সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর চালুর প্রস্তাব কমিশনের, আলোচনায় উত্তেজনা
  • টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
  • মানিব্যাগ তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে বড় ভাইয়ের মৃত্যু, ছোট ভাই হাসপাতালে
  • দেশে প্রথমবারের মতো ২৫টি ‘বেশি বিপদজনক’ বালাইনাশক চিহ্নিত
  • হামাসকে অস্ত্রত্যাগে ও গাজার শাসন ছাড়তে সৌদি, কাতার, মিসরের আহ্বান
  • ৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম বদল
  • প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ট্রাম্পের দাবিকে অস্বীকার করলেন মোদি
  • প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের বিনামূল্যে সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট
  • অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ