উত্তরায় তুরিন আফরোজের বাড়ি দখলচেষ্টার অভিযোগ
Published: 9th, April 2025 GMT
হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ডে থাকা আইনজীবী তুরিন আফরোজের বাড়ি দখলচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার সৎ ভাই শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজসহ এক দল লোক মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরার ওই বাড়ি দখল করতে যান বলে সাংবাদিকদের জানান তুরিনের মেয়ে তেজস্বী তুরিন সুমেধা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে সোমবার রাতে উত্তরা–৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর সড়কের ওই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বাড়িটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সৎ ভাইয়ের সঙ্গে তুরিনের বিরোধ চলে আসছে। এ-সংক্রান্ত মামলায় আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
তেজস্বী তুরিন সুমেধারের অভিযোগ, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিশির বাড়িটি নিজের দাবি করে সবাইকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ও তার সঙ্গীরা বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর এবং বাড়ির নামফলক সরিয়ে ফেলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ‘দখলচেষ্টাকারীরা’ চলে যায়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, বাড়ির মালিকানা দাবি করে একদল লোক সেখানে যায়। আমরা তাদের মালিকানা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেছি। সেইসঙ্গে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের কিশোরী কন্যাকে অভয় দেওয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে, যেকোনো প্রয়োজনে সে পুলিশি সহায়তা নিতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আব্দুল জব্বার নামে এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার তুরিনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দখল ত র ন আফর জ
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’