বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষ উত্তপ্ত রায়পুরে ফের হামলা, অগ্নিসংযোগ
Published: 9th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিহত প্রবাসীর স্বজন ও কৃষক দল নেতার অনুসারীরা এ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। আগের দিনে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনদের বাড়িতে এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে সোমবার উপজেলার উত্তর চরবংশীর খাসেরহাট বাজার এলাকায় স্থানীয় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে ফ্রান্সফেরত সাইজ উদ্দিন দেওয়ান নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হন। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে পাল্টা হামলা চালানো হয়। তবে প্রবাসী নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মূল অভিযুক্ত সহোদর ফারুক কবিরাজ, মেহেদী কবিরাজসহ অন্যরা পলাতক। তাদের অনুসারীদেরও এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।
গতকালের হামলা প্রসঙ্গে স্থানীয়রা জানান, সকাল ১০টার দিকে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মেহেদী কবিরাজ, রুহুল আমিন খাঁ ও আরিফ সরদারের বাড়িতে একযোগে হামলা চালায় কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব শামীম গাজীর অনুসারী ও নিহত সাইজ উদ্দিনের স্বজনরা। তারা তিনটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রায়পুর থানার ওসি মো.
এ প্রসঙ্গে কৃষক দল নেতা শামীম গাজী বলেন, ‘সোমবার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালায়।’ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ অন্যদিকে সোমবারের ঘটনায় অন্যতম হামলাকারী মেহেদী কবিরাজ পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, স্থানীয় বিএনপির নেতাদের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, চরাঞ্চল ও মাছঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টানাপোড়েন এ সহিংসতার মূল কারণ। রায়পুরে দলটির কমিটি বিলুপ্ত করা হলেও মাঠ পর্যায়ে বিরোধ থেমে নেই। বারবার তা সহিংস আকারে সামনে আসছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ। পরপর দুই সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। রাজনৈতিক সহিংসতা থামাতে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ চাচ্ছেন তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘আমরা সাধারণ মানুষ রাজনীতির বলি হতে চাই না। দ্রুত প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ, দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র র স ঘর ষ র ঘটন য় ব এনপ র এল ক য় স মব র
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’