মিজানুর রহমান আরিয়ান নির্মিত আলোচিত টেলিফিল্ম ‘বড় ছেলে’। ৫৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই টেলিফিল্মের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন— জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও মেহজাবীন চৌধুরী।

২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে মুক্তি পায় ‘বড় ছেলে’। এ জুটির রসায়ন ভীষণভাবে মুগ্ধ করে দর্শকদের। বাংলা নাটকের ইতিহাসে ইউটিউবে দ্রুততম ভিউয়ের তালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিল এটি। গত ৭ বছর ৭ মাসে (২ হাজার ৭৭৩ দিন) টেলিফিল্মটির মোট ভিউ হয়েছে ৫ কোটি ৪১ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি।

আলোচিত টেলিফিল্ম ‘বড় ছেলে’-এর ভিউয়ের রেকর্ড ভাঙল একক নাটক ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’। মহিন খান নির্মিত এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। গত বছরের ৯ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায় নাটকটি। তারপর থেকে দর্শকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে এটি। এক বছরে (৩৬৫ দিন) নাটকটির ভিউ দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি। ৩ লাখ ৭০ হাজার ভিউ বেশি নিয়ে বাংলা নাটকের ভিউয়ে এটি এখন শীর্ষে অবস্থান করছে।

আরো পড়ুন:

দুই পরিবার একসঙ্গে ঈদ করব: মেহজাবীন

মায়ের শাড়িতে বধূ সাজেন মেহজাবীন

‘শ্বশরবাড়িতে ঈদ’ নাটক শীর্ষে অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিলয়-অপূর্ব ভক্তরা দুই শিবিরে বিভক্ত হয়েছেন। “অপূর্বকে টপকে গেলেন নিলয়”, ‘অপূর্বর চেয়ে সেরা নিলয়”— এমন নানা ধরনের মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। ভক্তদের অনেকে যার যার প্রিয় অভিনেতাকে এগিয়ে রাখার প্রতিযোগিতাও করছেন। তবে এমন আচরণ পছন্দ নয় নিলয়ের।

বিনয়ের স্বরে নিলয় আলমগীর বলেন, “আমার নাটক এত মানুষ দেখেছেন, সেটা খুশির ব্যাপার। অপূর্ব ভাইয়ের “বড় ছেলে’ নাটকটা অনেক সুন্দর। আমি অপূর্ব ভাইয়ের বড় একজন ভক্ত। আমার মনে হয়, অপূর্ব ভাইয়ের নাটকটাই আমার নাটকের চেয়ে সুন্দর এবং ভালো। তা ছাড়া অপূর্ব ভাইয়ের সঙ্গে আমার তুলনা করা উচিত না।”

অপূর্বর সঙ্গে নিলয়ের তুলনার অনুশীলনটা ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। তিনি বলেন, “একটি কাজের পেছনে অনেক কষ্ট থাকে। দর্শক সেটা পছন্দ করলে সার্থক মনে হয়। তবে একটি বিষয় খারাপ লাগছে, সেটা হচ্ছে তুলনা। অনেকেই লিখছেন, ‘নাটকটি দিয়ে এ ওকে হারিয়ে দিল।’ আমার কাছে তুলনা করাটা ভালো লাগে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষ ভিউয়ে ২ নম্বরে ছিলাম, এখন শীর্ষে, এই যা! বাংলা নাটকের শীর্ষ ভিউয়ে রয়েছে এটাই বলা প্রাসঙ্গিক। ১ নম্বরে আছি, এটা বলাটাও আমার পছন্দ নয়। কারণ অনেক নাটক রয়েছে, যেগুলোর ভিউ এখন কম হলেও দর্শকপ্রিয়। যা-ই হোক, এটা আমাকে ভালো কাজে অনুপ্রেরণা দেবে।”

ভিউয়ের দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করায় ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের পরিচালক মহিন খান দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এ নির্মাতা বলেন, “নাটকটি প্রচারের পর থেকেই দীর্ঘ সময় ট্রেন্ডিংয়ে ছিল। কিন্তু এটা যে কখনো ভিউয়ের দিক থেকে শীর্ষ বাংলা নাটকের একটা হবে, এটা কল্পনাই করিনি। অল্প সময়ে এত দর্শক নাটকটি দেখায় তাদের কাছে কৃতজ্ঞত। অন্যদিকে ‘বড় ছেলে’ দীর্ঘ সময় ধরে সবচেয়ে বেশি দেখা বাংলা নাটকের তালিকায় ছিল। এটাও আমার পছন্দের একটি নাটক।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হজ ব ন চ ধ র ট ভ ন টক বড় ছ ল ন টক র পছন দ ন টকট

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাইব্যুনালে গুমের মামলা তদন্ত, বিচারে সহযোগিতা করবে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপ: চিফ প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হওয়া গুমের মামলার তদন্তের পাশাপাশি বিচারে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আজ সোমবার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি)-এর ভাইস চেয়ার গ্রাজিনা বারানোস্কা ও আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। এই দুজন ও ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি আজ দুপুরে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পরে এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গুমের কেসগুলোকে কীভাবে আমরা ডিল করছি এবং এই কেসের যে তদন্ত, বিচার কোন পর্যায়ে আছে; কী কী চ্যালেঞ্জ আমরা ফেস করছি, এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার জন্য কী কী ধরনের সাপোর্ট দরকার, তাঁরা কী ধরনের সাপোর্ট আমাদের দিতে পারেন, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিচার অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সব ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা করতে এই কমিটি প্রস্তুত আছে এবং তাঁরা এটা করবেন।’

গুমের শিকার, এমন ভুক্তভোগীরা সাক্ষী দিতে এসে যাতে বিপদে না পড়েন, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তাঁরা বলেছেন, যত ধরনের সাহায্য লাগবে, তাঁরা করবেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বিশেষ করে সাক্ষী সুরক্ষার ব্যাপারটা। এ ব্যাপারে আইন আছে, কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অনেক ভুক্তভোগী আছেন, তাঁদের হয়তো এমন নিরাপত্তার সংকট আছে, তাঁদের হয়তো এক জায়গা থেকে সরিয়ে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার হতে পারে। সেটা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে করা কঠিন। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের যদি সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ের জন্য কাজ করা সহজ হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ