গাজা সিটির শুজায়া এলাকার আবাসিক ভবনগুলোতে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরো ৫৫ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। 

আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বুধবার গাজার শুজায়া এলাকার একাধিক বসতবাড়ি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বোমা হামলার শব্দ থেকেই বোঝা যাচ্ছিল তারা গণহত্যা চালাচ্ছে। 

আরো পড়ুন:

গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ করায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ৯৭০ কর্মীকে বহিষ্কারের হুমকি

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স

গাজায় ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলার পর আটকে পড়া জীবিতদের উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ সরঞ্জামের অভাব থাকা সত্ত্বেও জরুরি কর্মীরা ‘তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা’ করছে।

বাসল বলেন, “ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েক ডজন মানুষ আটকা পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে আমরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।”

তিনি বলেন, “ইসরায়েল গাজায় যন্ত্রপাতি আসতে দিতে চায় না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরঞ্জাম আসতে না দেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে।”

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল।  তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও তিন হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে গাজায় হামলা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। 

প্রসঙ্গত,  ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু  করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ