দুরারোগ্য ব্যাধি গুলিয়ান ব্যারে সিনড্রমে (Guillain-Barré Syndrome) আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন মো. খোরশেদ আলম। এ রোগে পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম বিকল হয়ে শরীরের পেশিগুলো অচল হয়ে যায়। ফলে, দেখা দেয় প্যারালাইসিস, শ্বাসকষ্ট, হৃদযন্ত্রের জটিলতা ও হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি। 

খোরশেদ আলমের হাত-পা বিকল হয়ে গেছে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন খোরশেদ আলম।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতি দ্রুত ‘প্লাজমাফেরেসিস (Plasmapheresis)’ চিকিৎসা শুরু করতে হবে খোরশেদ আলমের। এতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। খোরশেদ আলমের গরিব পরিবারের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

রাইজিংবিডি ডটকমের ঢামেক প্রতিনিধি বুলবুল চৌধুরী জানিয়েছেন, খোরশেদ আলম ঢামেক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে, হাত-পা বিকল হয়ে গেছে। দ্রুত প্লাজমাফেরেসিস চিকিৎসা শুরু করতে পারলে তিনি আরোগ্য লাভ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

খোরশেদ আলম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া ফরকাজ পাটোয়ারী বাড়ির মৃত ফজল আহমেদের ছেলে। খোরশেদ আলমের চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য করতে দেশের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তার পরিবার।

অর্থ সহায়তা পাঠাতে
বিকাশ: ০১৬৭৬৪৭০৮৯৫
নগদ: ০১৬৮০১০১৬৪৯
ব্যাংক হিসাব: 
Md Fariz Uddin
Acc.

No: 20502900200859002
ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, পান্থপথ শাখা, ঢাকা।

অর্থ সহায়তার লক্ষ্যে যোগাযোগের জন্য খোরশেদ আলমের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে ০১৬০৬৯৫১৬৮৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছে তার পরিবার।

ঢাকা/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা