বাঁচতে চান দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত খোরশেদ
Published: 10th, April 2025 GMT
দুরারোগ্য ব্যাধি গুলিয়ান ব্যারে সিনড্রমে (Guillain-Barré Syndrome) আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন মো. খোরশেদ আলম। এ রোগে পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম বিকল হয়ে শরীরের পেশিগুলো অচল হয়ে যায়। ফলে, দেখা দেয় প্যারালাইসিস, শ্বাসকষ্ট, হৃদযন্ত্রের জটিলতা ও হঠাৎ মৃত্যুর ঝুঁকি।
খোরশেদ আলমের হাত-পা বিকল হয়ে গেছে। শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন খোরশেদ আলম।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতি দ্রুত ‘প্লাজমাফেরেসিস (Plasmapheresis)’ চিকিৎসা শুরু করতে হবে খোরশেদ আলমের। এতে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। খোরশেদ আলমের গরিব পরিবারের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
রাইজিংবিডি ডটকমের ঢামেক প্রতিনিধি বুলবুল চৌধুরী জানিয়েছেন, খোরশেদ আলম ঢামেক হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে, হাত-পা বিকল হয়ে গেছে। দ্রুত প্লাজমাফেরেসিস চিকিৎসা শুরু করতে পারলে তিনি আরোগ্য লাভ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খোরশেদ আলম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া ফরকাজ পাটোয়ারী বাড়ির মৃত ফজল আহমেদের ছেলে। খোরশেদ আলমের চিকিৎসার জন্য অর্থ সাহায্য করতে দেশের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তার পরিবার।
অর্থ সহায়তা পাঠাতে
বিকাশ: ০১৬৭৬৪৭০৮৯৫
নগদ: ০১৬৮০১০১৬৪৯
ব্যাংক হিসাব:
Md Fariz Uddin
Acc.
ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, পান্থপথ শাখা, ঢাকা।
অর্থ সহায়তার লক্ষ্যে যোগাযোগের জন্য খোরশেদ আলমের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে ০১৬০৬৯৫১৬৮৮ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছে তার পরিবার।
ঢাকা/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।
ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।
ঢাকা/কেএন/ইভা