বাগেরহাটে খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বাৎসরিক মেলা। প্রতিবছরের মতো এবারো চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মাজার প্রাঙ্গণে মেলা শুরু হয়।

মেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নারী-পুরুষ জড়ো হয়েছেন মাজার এলাকায়। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে মেলা।

এদিকে, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছেন মেলা এলাকায়। পাঁচ শতাধিক মৌসুমি ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরণের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ভক্ত-দর্শনার্থীদের দোকানিদের কাছ থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে দেখা গেছে। 

আরো পড়ুন:

বৈশাখী মেলা সামনে রেখে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা

পঞ্চগড়ে ভাষা সৈনিক সুলতান বই মেলা শুরু

মেলায় অংশগ্রহণকারীরা লালন, মুর্শিদি, ভাটিয়ালিসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করছেন। আগত মানুষরা সৃষ্টিকর্তার আরাধনা ও নিজেদের মনের ইচ্ছা পূরণের আশায় এসেছেন।

পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে আসা রফিক নামে এক দর্শনার্থী বলেন, “অনেক বছর ধরে মাজার মেলায় আসি। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। খুব ভালো লাগে মেলায় আসতে পেরে। এখানে যে দীঘিটি রয়েছে, সেখানে গোসল করলে মনে শান্তি আসে।”

মেলায় আসা নুরুননাহার বলেন, “আজ ভোরে আসছি। রবিবার রাতে যাব। এখানে ভাই-বোনদের সঙ্গে গান করব। মনের আশা পূরণে সবাই মিলে প্রার্থনা করব। আশা করি, চাওয়া পূরণ হবে।”

খানজাহান আলী (রহ.

) এর মাজারের অন্যতম খাদেম ও ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির তারিকুল ইসলাম বলেন, “৬০০ বছর আগে হযরত খানজাহান আলী (রহ.) পুণ্যভূমি বাগেরহাটে আসেন। চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে মাজারে। তারা এখানে এসে মাজার জিয়ারত ও দীঘিতে গোসল করেন। তারা তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য আল্লার দরবারে কান্নাকাটি করেন।” 

তিনি আরো বলেন, “এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। এটি দক্ষিণাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। মেলায় যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর জ হ ন আল

এছাড়াও পড়ুন:

হীরার গয়না, সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল, কোটি টাকা—বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মেয়েদের জন্য একের পর এক পুরস্কারের ঘোষণা

বিশ্বকাপ জেতার সুবাদে প্রাইজমানি হিসেবে আইসিসির কাছ থেকে ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার (৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা) পেয়েছে ভারত নারী ক্রিকেট দল। এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫১ কোটি রুপি অর্থ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, একের পর এক আসছে আরও পুরস্কারের ঘোষণা।

ভারতের সুরাটের শিল্পপতি ও রাজ্যসভার সদস্য গোবিন্দ ঢোলাকিয়াও ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য এক অভিনব পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। হীরার গয়না আর সৌরবিদ্যুতের প্যানেল—এই দুই উপহার পৌঁছে যাবে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রতিটি ক্রিকেটারের ঘরে।

ঢোলাকিয়া শ্রী রামকৃষ্ণ এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এমেরিটাস। ফাইনালের আগেই তিনি বিসিসিআইয়ের সহসভাপতি রাজীব শুক্লাকে চিঠি লিখে জানান, ভারতীয় দলের প্রতিটি সদস্যকে তিনি ‘হাতে তৈরি প্রাকৃতিক হীরার গয়না’ দিতে চান। তাঁর ভাষায়, এটি হবে ক্রিকেটারদের মেধা আর দৃঢ়তার প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শন।

শুধু তা–ই নয়, ঢোলাকিয়া চিঠিতে আরও লিখেছেন, প্রতিটি খেলোয়াড়ের বাড়ির ছাদে বসানোর জন্য সৌরবিদ্যুতের প্যানেলও উপহার দিতে চান তিনি—‘যেন দেশের জন্য যে আলো তারা ছড়িয়েছে, সেই আলো সব সময় তাদের জীবনেও জ্বলতে থাকে।’

প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপ জিতল ভারত

সম্পর্কিত নিবন্ধ