বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা গৃহকর পেল চসিক
Published: 17th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) দাবির চার বছর পর অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা গৃহকর পেয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের হাতে ১০০ কোটি টাকার চেক তুলে দেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। এই টাকা নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক সেবা বাড়াতে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি হোল্ডিংয়ের (স্থাপনা) কর পুনর্মূল্যায়ন করে চসিক। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের ২০৯টি স্থাপনার বিপরীতে গৃহকর দাঁড়ায় ১৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ কোটি টাকা। পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়নে গৃহকর বেড়ে যাওয়ায় আন্দোলনে নামে করদাতা সুরক্ষা পরিষদ নামের একটি সংগঠন। আন্দোলনের মুখে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী গৃহকর আদায় স্থগিত করে দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর সিটি করপোরেশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় মন্ত্রণালয়। ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী ১৬০ কোটি টাকা দাবি ছিল সিটি করপোরেশনের। তা দিতে নারাজ ছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তারা আগের ধার্য করা ৪৫ লাখ টাকা আদায় করে আসছিলেন।
সর্বশেষ চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে এক চিঠিতে চসিক ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১৬০ কোটি টাকা গৃহকর পরিশোধের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় তা অনুমোদন করলে, চট্টগ্রাম বন্দর ১০০ কোটি টাকা গৃহকর পরিশোধ করে।
চসিকের মেয়র ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ১০০ ক ট গ হকর প সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে বিদেশি ঋণ শোধ ৩০০ কোটি ডলার ছাড়াল
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের প্রায় সমান। গত অর্থবছরে (২০২৩–২৪) মোট ৩৩৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে। এর মানে হলো, এবার প্রথম ৯ মাসেই গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি জুলাই–মার্চ মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতির হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। সেখানে বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ইআরডির তথ্য অনুসারে, ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই–মার্চ) দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশের সমান।
অন্যদিকে আলোচ্য ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। আর সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
এদিকে গত জুলাই–মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল।
জুলাই–মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।