আশুগঞ্জ আড়তে নতুন ধানের সরবরাহ বেড়েছে, দাম কম
Published: 17th, April 2025 GMT
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ ধানের মোকাম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বেড়েছে নতুন ধানের সরবরাহ। তবে ক্রেতা তেমন না থাকায় বোরো মৌসুমের এ ধানের দাম পাচ্ছেন না পাইকাররা। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম পড়েছে মণপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান নিয়ে আসা পাইকাররা জানিয়েছেন, দাম না পেয়ে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা। নতুন ধান না কেনার কারণ হিসেবে মিলাররা বলছেন, নতুন ধানে চালের গড় উৎপাদন কম হয়। চাহিদা কম বলে দামও পড়তি। তবে সরকার কেনা শুরু করলে ধানের দাম বাড়বে।
চৈত্র মাসের শেষ দুই সপ্তাহ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ জেলা থেকে নতুন বোরো ধান আশুগঞ্জ মোকামে উঠতে শুরু করে। প্রথম দিকে সরবরাহ কম থাকায় এবং বাজারে পুরোনো ধানের দাম বেশি থাকায় প্রতি মণ নতুন চিকন ধান ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ১৪০ এবং মোটা ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে বৈশাখের শুরুতে বাজারে ধানের জোগান বেড়ে যাওয়ায় চিকন সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০ এবং মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়।
মিল মালিকরা জানান, এখন রোদ ভালো থাকায় কৃষক ধান চাহিদামতো শুকাতে পারছেন। সরকারও সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করবে। তখন দাম বাড়বে।
মোকামের পাইকার শফিকুল ইসলাম জানান, ২০০ মণ চিকন এবং ৫০০ মণ মোটা ধান মোকামে এনেছেন তিনি। মিলাররা ৮২০ থেকে ৯০০ টাকা দাম বলছেন। অথচ প্রথম চালানে একই মানের ধান ৯০০ থেকে ১ হাজার ১২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আরেক পাইকার দুলাল মিয়া জানান, দ্বিতীয় চালানে ৭০০ মণ মোটা ধান মোকামে তুলে লোকসানে বিক্রি করেছেন তিনি।
মোল্যা এগ্রো ফুডের কর্ণধার মহিউদ্দিন মোল্যা ও রজনীগন্ধা এগ্রো ফুডের মালিক হাছান ইমরান জানান, বাজারে নতুন চালের চাহিদা কম বলে মিলাররা ধান কিনতে আগ্রহী নন। সপ্তাহ দুই পরে এমন অবস্থা থাকবে না। বাজারে শুকনো ধান উঠলে দাম বাড়বে।
উপজেলা চাতাল কল মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জহুরুল হক সিকদার অটো রাইস মিলের অন্যতম মালিক হেলাল সিকদার বলেন, সরকার ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করলে ধানের দাম বাড়বে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় নত ন ধ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পায়রা বন্দরসহ দুই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন
পায়রা বন্দরের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রস্তাব দুটিতে ব্যয় হবে ৪৫০ কোটি ১১ লাখ ১০ হাজার ২৫৪ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রি পরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট পরিসেবাসহ দুটি শিপ টু শোর ক্রেন সরবরাহ এবং স্থাপন কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) এইচপি এবং (২) এনজে, চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬২ কোটি ২ লাখ ১১ হাজার ৫৬৮ টাকা।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর দুইয়ের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স এবং (২) এসএস রহমান ইন্টারন্যানাল লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ২৮৮ কোটি ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৮৬ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত//