বগুড়ায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ জন গ্রেপ্তার
Published: 17th, April 2025 GMT
বগুড়ায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল হেফাজতে নিতে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের উত্তর চেলাপাড়া ব্রিজের নিচে পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা সেখানে মাদকসেবন করছিল।
তারা হলো- আল আমিন, রনি, তানজিল ও তোহিদ হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি উত্তর চেলাপাড়া।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মব তৈরি করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় ওই গ্যাং। এতে আহত হন বগুড়া সদর থানার ফুলবাড়ি ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহম্মদ আলী। তারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে কালিতলা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ সদস্যরা। সেখানে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নিতে গেলে কয়েকজন কিশোর মব তৈরি করে পুলিশ কর্মকর্তাদের কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটা করে। পরে তারা মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈন উদ্দিন জানান, হামলায় জড়িতদের শনাক্ত ও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত পাঁচ বিএনপিকর্মী
নোয়াখালীর হাতিয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপির পাঁচ কর্মী। তাদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তমরদ্দি বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ জন্য একই দলের অন্য নেতার অনুসারীদের দায়ী করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আহত ব্যক্তিরা হলেন– সোহেল উদ্দিন (৩০), রুবেল (২৫), মো. রনি (২৬), এরশাদ (৩৫) ও পায়েল (২৫)। তাদের বাড়ি তমরদ্দি ইউনিয়নের আঠারোবেকী গ্রামে। আহত সবাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের কর্মী-সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তমরদ্দি বাজারের একটি চা দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন। এ সময় কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পাঁচজন আহত হন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিহাব উদ্দিনের ভাষ্য, সবার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কিছু আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনেকের শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এ জন্য চারজনকে রাতেই হাতিয়ার বাইরে চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তানভীর হায়দারের ভাষ্য, মঙ্গলবার ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে আসার পথে হামলায় তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দুটি মামলা হলেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। ওই আসামিরাই বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত। তারা সবাই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবিরের লোক।
তবে আলমগীর কবিরের দাবি, হামলায় তাঁর কোনো নেতাকর্মী জড়িত ছিলেন না। এমন অভিযোগ সত্য নয়।
হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, বিএনপি নেতা তানভীর হায়দার ও আলমগীর কবিরের লোকজনের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাদের বিরোধ অনেক পুরোনো। আগের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।