বগুড়ায় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল হেফাজতে নিতে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহতের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাদের উত্তর চেলাপাড়া ব্রিজের নিচে পরিত্যক্ত ঘরের ভেতর থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তারা সেখানে মাদকসেবন করছিল।

তারা হলো- আল আমিন, রনি, তানজিল ও তোহিদ হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি উত্তর চেলাপাড়া। 

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মব তৈরি করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায় ওই গ্যাং। এতে আহত হন বগুড়া সদর থানার ফুলবাড়ি ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আহম্মদ আলী। তারা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে কালিতলা এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ সদস্যরা। সেখানে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি হেফাজতে নিতে গেলে কয়েকজন কিশোর মব তৈরি করে পুলিশ কর্মকর্তাদের কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটা করে। পরে তারা মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈন উদ্দিন জানান, হামলায় জড়িতদের শনাক্ত ও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। 

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

আরো পড়ুন:

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের

শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।” 

শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।

মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।

তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি।  ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।

ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। 

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ