আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণকারী শিল্পীর বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আগুন দেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আগুনের ঘটনায় গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দহভাজন ছয়জনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। এদেরকে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলের দিকে আদালতে তোলা হবে। আজকেও ওই বাড়ি পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। 

মানিকগঞ্জে মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আটককৃতরা হলো- আল আমিন তমাল (২২) অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ, মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস (২২) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা ছাত্রলীগ, বাবুল হোসেন (৫৪) ৩নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক, আওয়ামী লীগ, মীর মারুফ (২১), ছাত্রলীগ নেতা আমিনুর রহমান (২৪), ছাত্রলীগ নেতা খান মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন (১৮)।

আটকদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা খান মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন (১৮) চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘মিশন কমপ্লিট’ লিখে একটি স্ট্যাটাস দেন।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাত তিনটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষের বাজার এলাকায় ভাস্কর্য শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের গ্রামের বাড়ির একটি ঘরে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে আগুনের বিষয়ে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। 

তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও একটি ঘরের ভেতরে থাকা সব আসবাবপত্র, ভাস্কর্যসহ একটি মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

এ ঘটনায় ছয় সদস্যবিশিষ্টি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন। এ কমিটি তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ জানান, আটককৃতদের মধ্যে খান মোহাম্মদ রাফি ওরফে সিজন গত মঙ্গলবার রাতে অগ্নিসংযোগের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল ‘মিশন কমপ্লিট’। আশা করা যাচ্ছে তার কাছ থেকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। 

এ ঘটনায় চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।

ঢাকা/চন্দন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ র ঘটন য় হ ম মদ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে ছিনতাইকারী সন্দেহে আটক ১ 
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক