অনলাইন বিজ্ঞাপন ব্যবসায় গুগল অবৈধভাবে ‘একচেটিয়া ক্ষমতা’ তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একজন ফেডারেল বিচারক গতকাল বৃহস্পতিবার এই রুল দিয়েছেন।

এই রুল একটি আধুনিক ওয়েবসাইট চালানোর মৌলিক অর্থনীতিকে নতুন রূপ দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রুলের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল।

গুগলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগসহ ১৭টি অঙ্গরাজ্য মামলা করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, কোন বিজ্ঞাপন অনলাইনে যাবে, কোন স্থানে বসবে—ইত্যাদি নির্ধারণকারী প্রযুক্তিতে অবৈধভাবে আধিপত্য বিস্তার করছে গুগল।

গতকাল ভার্জিনিয়ার ডিস্ট্রিক্ট জজ লিওনি ব্রিনকেমা তাঁর রুলিংয়ে বলেন, গুগল ইচ্ছাকৃতভাবে একের পর এক প্রতিযোগিতাবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়েছে, যা গুগলকে বাজারে একচেটিয়া ক্ষমতা অর্জন ও তা বজায় রাখতে সক্ষম করেছে।

রুলিংয়ে বলা হয়, এই আচরণ গুগলের প্রকাশক গ্রাহক, প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়া ও উন্মুক্ত ওয়েবে তথ্যের ভোক্তাদের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।

গুগলের এই ধরনের চর্চা প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করেছে বলে বিচারক তাঁর রুলিংয়ে উল্লেখ করেন।

গতকালের রুলিংয়ের মধ্য দিয়ে এক বছরে মার্কিন আদালতে অ্যান্টিট্রাস্ট আইনের দুটি মামলায় গুগল হেরে গেল।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল যে মামলায় গুগলের বিরুদ্ধে রুলিং হয়, তাতে মোট তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটিতে গুগল হেরেছে। আর একটি অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে।

আদালতের রুলিংয়ের পর গুগলের রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি-অ্যান মুলহোল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এই মামলার অর্ধেক জিতেছি। বাকি অর্ধেকের জন্য আমরা আপিল করব।’

রায়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ