নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সঙ্গে তুরস্কের আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল দায়িত্বগ্রহণের পর তুরস্ক সফরে গিয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নোবিপ্রবির পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইসমাইল। অন্যদিকে আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইয়েলদিস।

আরো পড়ুন:

কেকুবাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নোবিপ্রবির চুক্তি স্বাক্ষর

নোবিপ্রবির উপাসনালয় ভাঙচুর 

এ সময় অন্যান্যের মাঝে ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ভাইস রেক্টরসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি স্বাক্ষর শেষে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বিশ্ববিদ্যালয়টির ল্যাব, ক্লাসরুম ও গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন করনে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এ সমঝোতা স্বারক এর আওতায় উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ফ্যাকাল্টি, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থী একচেঞ্জ, এমএস ও পিএইচডি শিক্ষার্থী জয়েন্ট সুপারভিশন, এনার্জি টেকনোলজি ও ইঞ্জিনিয়ারিং একচেঞ্জ, একাডেমিক ও ইনফরমেশন ম্যাটেরিয়ালস একচেঞ্জ, যৌথ গবেষণা ও কনফারেন্স চালু এবং ভাষা কোর্স চালুর সুবিধা রয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ব প রব র

এছাড়াও পড়ুন:

বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’

প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।

নতুন কুঁড়ির এ ছবিটি অভিনেত্রী শাওন ফেসবুকে শেয়ার করেছেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ