ভূমিবৈষম্য দূর করতে কৃষি ও ভূমি সংস্কার কমিশন গঠনের আহবান
Published: 20th, April 2025 GMT
সমাজে বিদ্যমান ভূমিবৈষম্য দূর করতে কৃষি ও ভূমি সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে দেশের ১৩ নাগরিক সংগঠন। তারা বলেছে, তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলে এক মাসের মধ্যে কৃষি ও ভূমি সংস্কারবিষয়ক প্রতিবেদন সরকারের কাছে উত্থাপন করতে পারবে।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের সার্বিক ভূমি ও কৃষি সংস্কারের নাগরিক প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি খাসজমিতে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা, পাহাড়ে-সমতলে ভূমিবৈষম্য দূর করা, ভূমিতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অভিগম্যতা নিশ্চিত করাসহ ৩৬টি দাবি উত্থাপন করা হয়।
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন বলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে ভূমিবিরোধের সঙ্গে জড়িত। তাই সরকারের কাছে শুরু থেকে ভূমি সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার সেটা গ্রহণ করেনি।
জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা সরকারকে ফ্রি সার্ভিস দিতে চাই। আমাদের কোনো সম্মানী বা পারিশ্রমিক লাগবে না। কমিশনের দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হলে আমরা মাত্র এক মাসের মধ্যে সরকারের কাছে আমাদের কমিশনের প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী তাসলিমা আহমদ বলেন, ‘৩৬টি দাবিকে আমরা তিনটি পয়েন্টে নিয়ে আসতে পারি। আমরা চাচ্ছি ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা, বৈষম্য এবং সহিংসতা নিরসনে প্রয়োজনে আইন ও নীতিমালা যেটা যেখানে প্রয়োজন, সেটা নিশ্চিত করা।’
মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী সাইদুর রহমান বলেন, সর্বশেষ বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী দেশে ৩ কোটি ৩০ লাখ খানা আছে। এর মধ্যে ২৩ লাখ খানায় কোনো বাড়ি-ভিটে নেই। অথচ দেশে কৃষি খাসজমি আছে ৩৩ লাখ একর। প্রত্যেককে এক একর করে জমি দিলে কেউ ভূমিহীন থাকে না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজের পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, ‘কৃষিজমির সুরক্ষা, ভূমিবৈষম্য দূর করতে এ কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। কৃষিতে দেশের ৪৪ শতাংশ মানুষ নিয়োজিত। এ খাতকে পাশ কাটিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
‘নিজেরা করি’র সমন্বয়ক খুশী কবিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।
টিআইবি, ব্লাস্ট, এইচডিআরসি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বারসিক, নাগরিক উদ্যোগ, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন ও নিজেরা করি, বেলা, এএলআরডি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এবং মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’
গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।
বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’
সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’
মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজএদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’
সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’
বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স