ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সের সনদের মান স্নাতকের (পাস) সমান করার দাবিতে মানববন্ধন
Published: 21st, April 2025 GMT
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতকের (পাস) সমান করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের (বিডিএসএনইউ) আয়োজনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
নার্সিং কলেজ মিটফোর্ডের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জয়শ্রী রানী বলেন, ‘এইচএসসি পাসের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ভর্তি পরীক্ষা দিয়েই এখানে আসতে হয়। এখানে তিন বছরের কোর্স। তাই ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতকের (পাস) সমমান দেওয়ার দাবি আমাদের।’
ইউনিহেলথ নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী মারুফা জান্নাত তাঁদের কোর্সের সনদকে স্নাতকের (পাস) সমান মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা সেটা পাচ্ছি না। অনেক দিন ধরে চাইলেও এটা আমাদের পূরণ হচ্ছে না। আমরা চাই, নতুন সরকার যেহেতু এসেছে, বৈষম্য দূর হয়ে যাক। আমাদের পড়াশোনার মর্যাদাটা যাতে দেওয়া হয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়নের সভাপতি অঙ্কিতা ব্যাপারী শক্তি বলেন, ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট তাঁরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এরপর তাঁরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তিনি একটি কমিটি করে দেন। কমিটি তাঁদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করলেও দাবি বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইন ন র স
এছাড়াও পড়ুন:
শিবচরে তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে থাকা আসামি রাকিব মাদবরকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ২২ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের প্রধান সড়কে একটি ব্যাংকের সামনে রাকিব মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রাকিব শিবচর উপজেলার চরশ্যামাইল এলাকার নাসির মাদবরের ছেলে। তিনি সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
দুই দিন পার হয়ে গেলেও এই ঘটনায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ দুপুরে শিবচর পৌর বাজারের সদর রোডে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে শত শত মানুষের সামনে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একটা সভ্য স্বাধীন দেশে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড হতে পারে না। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার না করা হলে ভবিষ্যতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন তাঁরা।
মামলার বাদী নিহত ব্যক্তির চাচি পারুল আক্তার বলেন, ‘রাকিবরে এতগুলো মানুষের সামনে কুপাইয়া মাইরা ফালাইলো। কেউ বাঁচাতে এগিয়ে আসলো না। যারা খুন করছে, তারা রাকিবের পূর্বশত্রু। আবুল কালাম সরদারের নির্দেশে তার লোকজন এই খুন করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় কোনো আসামি এখন অবধি গ্রেপ্তার করে নাই। আসামিগো গ্রেপ্তার চাই, ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সঙ্গে নিহত রাকিব মাদবরের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ৬ মে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ নিহত হন। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি রাকিব সম্প্রতি জামিন নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে এলাকায় আসেন। রোববার রাত আটটার দিকে শিবচর পৌর বাজারের একটি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাকিব। এ সময় ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন করে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুনশিবচরে হত্যা মামলায় জামিনে থাকা আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫