নওগাঁয় ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের
Published: 23rd, April 2025 GMT
নওগাঁর পোরশায় মাটিবাহী ট্রাক্টরের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নাজমুল হক সুমন (২১) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি নিতপুর পুরাতনপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন একই এলাকার মোতাহার উদ্দীনের ছেলে আজিম উদ্দীন (২৩)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বুধবার বিকেলে সুমন ও আজিম উদ্দীন মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি থেকে নিতপুর-সারাইগাছী সড়ক হয়ে সুতরইল মোড়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তারা বড় ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে মাটিবাহী একটি ট্রাক্টর রাস্তার দক্ষিণ পাশ থেকে মূল সড়কে উঠতে গেলে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে সুমন আলী নিহত হন। আহত অবস্থায় আজিম উদ্দীনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর ছিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।