স্ত্রীকে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশে বসেছিলেন রব মিয়া
Published: 23rd, April 2025 GMT
স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর ছুরি হাতে লাশের পাশেই বসেছিলেন আব্দুর রব মিয়া (৫০)। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুলেখা বেগম (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ২০ বছর আগে হাইজাদী ইউনিয়নের টোটারবাগ গ্রামের নয়াপাড়া এলাকার আব্দুল মিয়ার মেয়ে সুলেখার সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামের মৃত চান্দু মিয়ার ছেলে রবের বিয়ে হয়। স্ত্রীর সঙ্গে রবের পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিনের। বুধবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক হয়। পরে সকালে নাস্তা খেয়ে সুলেখা কক্ষে ঘুমিয়ে পড়লে রব তাকে গলাকেটে হত্যা করেন। এরপর ছুরি হাতে লাশের পাশেই তাকে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় এলাকাবাসী রবকে গণপিটুনি দিয়ে ঘরে আটকে রাখেন।
খবর পেয়ে সুলেখার স্বজনরা রবকে ঘর থেকে বের করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আব্দুর রব মিয়ার দাবি, সুলেখা তাকে দীর্ঘদিন ধরে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। তাই তিনি সুলেখাকে হত্যা করেছেন। পুলিশের কাছে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আব্দুর রব মিয়াকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সুলেখার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হককে থাপ্পড়
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মাদ্রাসার ছাত্র হাফেজ সোলাইমান হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দিন কাদিরের আদালতে তাকে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে কড়া নিরাপত্তায় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আইনজীবীদের একাংশ আনিসুল হককে চড়-থাপ্পড় দেন। এ সময় পুলিশ নিরাপত্তায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুলিবিদ্ধ হয় ১৯ বছর বয়সী হাফেজ সোলাইমান। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন নিহত সোলাইমানের ভগ্নিপতি শামীম কবির।
মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ৫১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/বকুল