নাজমুল হোসেনের মুখটা মলিনই ছিল।

কিছুক্ষণ আগে জিম্বাবুয়ের কাছে দল হেরেছে। সেই হারের ব্যবচ্ছেদ চলছিল সংবাদ সম্মেলনের একেকটি প্রশ্নে। হতাশ নাজমুল ‘আমরা খুব বাজে ক্রিকেট খেলেছি’ বলে এরই মধ্যে দায়ও নিয়েছেন। এরপরই এল প্রশ্নটা। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতে শুরু করলেন—‘আপনাদের ম্যাচ ফি বাড়ানো হয়েছে। বেতনও বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সুযোগ-সুবিধাও ভালো আছে মনে করেন। কোচিং স্টাফও যেমন চাচ্ছেন, তেমন পাচ্ছেন। আর কী কী করলে টেস্টে এগোনো সম্ভব?’

লম্বা প্রশ্নের খণ্ড খণ্ড বাক্য শুনতে শুনতেই মুখটা কঠিন হয়ে উঠল নাজমুলের। চেহারায় কাঠিন্য রেখেই পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘বেতন বাড়ানোয় মনে হয় আপনারা খুশি না.

..।’ স্পষ্টতই বিরক্তির প্রকাশ। যার অনুবাদ অনেকটা ‘মাঠে ভালো করতে পারিনি বলে বেতন বৃদ্ধির খোঁটা দিচ্ছেন!’

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও আইএসআই প্রধান মালিক

পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে দেশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিককে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। 

গত মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেনারেল মালিক আইএসআই মহাপরিচালক হিসেবে তার বর্তমান পদেও বহাল থাকবেন।২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তিনি এই পদে রয়েছেন। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

তার এই নিয়োগের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো একজন আইএসআই প্রধান একই সঙ্গে এনএসএ'র দায়িত্ব পেলেন। সম্প্রতি ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক উত্তেজনার মধ্যে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক নতুন দায়িত্ব পাওয়ার খবর এলো। 

২০২২ সালের এপ্রিলে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকার অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে পাকিস্তানের এনএসএ পদটি শূন্য ছিল। সে সময় মঈদ ইউসুফ এনএসএ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ