স্বপ্নের মতো সময়ই কাটছে এনামুল হকের। করছেন একের পর এক সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃত ক্রিকেটে সেঞ্চুরির ফিফটি করার পরের ম্যাচেই ৫১তম সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যান এনামুল। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর কালই তাঁকে নেওয়া হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে।

এনামুল হকের অনুভূতি কেমন? মুঠোফোনের ওপ্রান্তে তিনি তখনো ব্যস্ত সন্তানের সঙ্গে খেলতে। চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য ব্যাগ গোছাতেও নিশ্চয়ই শুরু করেছেন এতক্ষণে। তিন বছর পর টেস্ট দলে সুযোগ পেয়ে এনামুল প্রথম আলোকে বললেন আরও বড় স্বপ্নের কথা, ‘জাতীয় দল তো আর মানুষের লক্ষ্য থাকে না। ওখানে গিয়ে ভালো খেলার স্বপ্ন থাকে। ওটার জন্য সবাই দোয়া রাখবেন।’

আরও পড়ুনভারতের কোচকে হত্যার হুমকি দিয়ে মেইল৪০ মিনিট আগে

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে ৮৭৪ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সে খেলা এনামুল। সাদা বলের ক্রিকেটে পারফর্ম করেই কি লাল বলে সুযোগ পেয়ে গেলেন? এর উত্তর পাওয়া যাবে সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগের দিকে তাকালে। গত বছর ৭ ম্যাচে ৬৭.

৩৭ গড়ে ৭০০ রান করেছিলেন চার দিনের ওই টুর্নামেন্টে, তাঁর চেয়ে বেশি রান ছিল মাত্র একজনের।

ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর রান পাচ্ছেন এনামুল

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিদ্যুৎ ব্যবহার

বর্তমানে বাংলাদেশে লোডশেডিং একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমে এর প্রকোপ আরও বেশি অনুভূত হয়। দেশের অনেক এলাকায় দৈনিক কয়েক ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ চলে যায়, যার ফলে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ও কাজকর্ম ব্যাহত হয়।

যদিও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি একটি বড় কারণ, কিন্তু অনেকাংশেই দায়ী আমাদের নিজেদের অসচেতন ব্যবহার। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়াই ফ্যান বা বাতি জ্বালিয়ে রাখেন। এক রুম থেকে অন্য রুমে গেলেও আগের রুমের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করেন না।

দিনের আলো পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। বাড়ি ছেড়ে বাইরে গেলেও অনেকেই বাতি, ফ্যান, এমনকি টিভি পর্যন্ত বন্ধ করতে ভুলে যান। এসব ছোট ছোট অভ্যাস মিলেই তৈরি করে বড় একটি সমস্যার—যার নাম বিদ্যুৎ অপচয়। একটি ফ্যান বা একটি বাতি অপচয়ের মাধ্যমে যদি দেশের লাখো মানুষ একসঙ্গে একই আচরণ করেন, তবে তার প্রভাব পড়বে জাতীয় বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়। ফলে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হতে হয়।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং যতটা সম্ভব সাশ্রয়ী হতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিদ্যুৎ একটি মূল্যবান সম্পদ—এটি শুধু আমাদের একার নয়, সমগ্র জাতির সম্পদ।

তানভীর আহমদ রাহী

চট্টগ্রাম কলেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ