‘কী আছে বাইর কর’ বলেই অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে টাকা নিচ্ছিল ডাকাত দল। বড় ভাইকে বাঁচাতে দৌড়ে ছুটে আসেন ছোট ভাই। তখন ডাকাতদের গুলিতে আহত হন ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম সায়েম (২৫)।

শনিবার রাত ৩টার দিকে হাটহাজারী পৌরসভার বাসস্ট্যান্ডের মেখল রোডের মাথায় গাউছিয়া গ্রোসারিতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সায়েম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত।

ঘটনা সম্পর্কে আহত সায়েমের আরেক ভাই আমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, তাদের বড় ভাই রাসেদ দোকানের হিসাবনিকাশ শুরু করার পর তিনি (বাবু) বাসায় চলে আসেন। এরপর দীর্ঘ সময় কেটে যায়। কিন্তু রাসেদ ফিরছিলেন না। তারপর সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখতে পান, চারজন দুর্বৃত্ত মুখোশ পরে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁর ভাই রাসেদকে জিম্মি করে দোকানের দুই ক্যাশবাক্সের টাকা ও দামি মালপত্র নিয়ে যাচ্ছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় এই দৃশ্য দেখে তাদের ছোট ভাই সায়েম দৌড়ে যান। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে আহত হন সায়েম। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে তাঁকে সিএমএইচে পাঠান। সেখানে তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

র্যা ব ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাটহাজারী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার নাজমুল হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ফোন দিলে থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমি প্রটোকলে আছি। পরে কথা হবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ