তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপির তিন সংগঠন
Published: 28th, April 2025 GMT
রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় শহরে আবারও তারুণ্যের সমাবেশ করবে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আগামী ৭ মে চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে এ সমাবেশ শুরু হতে পারে। কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করছেন তিন সংগঠনের নেতারা। এর অংশ হিসেবে আজ তিন সংগঠনের যৌথসভা হবে।
এর আগে ২০২৩ সালের জুনে সারাদেশে বিভাগীয় শহরে তারুণ্যের সমাবেশ করে তিন সংগঠন। ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’– এই স্লোগানে ছয় বিভাগে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ব্যাপক সাড়া ফেলে তরুণদের মাঝে। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অনেক বাধা এড়িয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এসব সমাবেশে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। নির্বাচন নিয়ে নানা ধূম্রজালের মধ্যে ছাত্র ও যুবসমাজের সমর্থন বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
দলের নেতারা জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আট মাস পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার কোনো রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। সরকারের একেক সময়ে একেক বক্তব্যে বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আগামী নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার। সরকারকে চাপে রাখতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন দলের শীর্ষ নেতারা। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের জন্য ঐকমত্য তৈরিতে ১৯ এপ্রিল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোদী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে বিএনপি। বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে চলতি মাসের শেষে কিংবা আগামী মাসের শুরুতে সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এতে সরকারকে বার্তা দেওয়া হবে– দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত এবং তারা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচন ইস্যুতে রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের ওপর পরোক্ষ ও মনস্তাত্ত্বিক চাপ রাখবে দলটি। বিএনপির এ কৌশলের পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-তরুণ ও যুবক শ্রেণির কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে যেমন দেশের বড় একটি অংশের সমর্থন আদায়ের কৌশল রয়েছে, তেমনি খুব শিগগির নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হবে।
দলটির শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে ব্যস্ত রাখা গেলে যেসব অপবাদ আর অপকর্মের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে উঠছে, সেখান থেকে দূরে রাখা যাবে। এতে সংগঠনগুলোতে গতিশীলতাও বাড়বে ।
দলের একজন সিনিয়র নেতা জানান, সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে অনেকেই বলেন, বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে ভিন্নমাত্রার কর্মসূচি দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে তরুণদের নিয়ে বিভাগীয় বা বড় জেলা শহরে সমাবেশ করতে পারে। বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তারা ভোট দিতে পারেননি। তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য হতে পারে এসব সমাবেশ। এতে তরুণরা উৎসাহিত হবে। তারুণ্যের সমাবেশের পাশাপাশি বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবে। স্থায়ী কমিটির এমন সিদ্ধান্তের পর তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। শীর্ষ নেতাদের নির্দেশ পেয়ে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে দফায় দফায় বৈঠক করেন তারা। কর্মসূচির খসড়া তৈরি করে বিএনপি নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সূত্রমতে, তিন সংগঠনের সমাবেশগুলোয় ২০২৩ সালের তারুণ্যের সমাবেশের মতো আবহ তৈরি করতে চান নেতাকর্মীরা। তরুণদের ব্যাপক উপস্থিতি বাড়াতে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্মসূচি সফল করতে বিভাগীয় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করা হচ্ছে। সারা দেশের সব ইউনিট নেতাদের সঙ্গেও ধারাবাহিক বৈঠক করছেন তিন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
তিন সংগঠনের নেতাকর্মীর প্রত্যাশা এবারের তারুণ্যের সমাবেশেও তরুণদের ব্যাপক উপস্থিতি হবে। কারণ, ১৭ বছর ধরে তরুণরা নানাভাবে অবহেলিত। তারা মনে করেন উচ্চশিক্ষার পরও লাখ লাখ তরুণ বেকার। ভোটার হওয়া সত্ত্বেও তারা ভোট দিতে পারছেন না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর তাদের প্রত্যাশা ছিল অচিরেই দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে, অর্থনীতির চাকা সচল হবে, সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা আসবে। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও ভোটাধিকারসহ কোনো ক্ষেত্রে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তরুণদের সমস্বরে আগামী নির্বাচনের দাবি তুলে ধরা হবে এসব সমাবেশ থেকে।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান সমকালকে বলেন, তরুণ ভোটার, বিশেষ করে গত ১৬ বছরে যারা ভোটার হয়েছেন, অনেকেরই বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর। কিন্তু তারা স্বাধীনভাবে একবারও ভোট দিতে পারেননি। তরুণরা ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছেন; আবার চব্বিশের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে দেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছেন। এখন তরুণদের ঐক্যের মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ত ন স গঠন র ন ত কর ম ব এনপ র কর ম র সরক র করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
৫ বছরে ঋণের স্থিতি বাড়বে ৫৩.৭৭ শতাংশ: অর্থবিভাগ
পাঁচ বছরে দেশের ঋণের স্থিতি বেড়ে দাঁড়াবে ৫৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের স্থিতি বেড়ে হবে ৫৬ দশমিক ৬ ০ শতাংশ এবং বৈদেশিক ঋণের স্থিতি বৃদ্ধি পাবে ৫০ শতাংশ। অর্থ বিভাগের করা সাম্প্রতিক এক প্রক্ষেপণে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ঋণের স্থিতি ছিল আঠারো লাখ ৮১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ঋণের এই স্থিতি বেড়ে দাঁড়াবে ২৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এই হিসেবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ঋণের স্থিতি টাকার অঙ্কে বৃদ্ধি পাবে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
গত ২ জুন অর্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি ২০২৫-২০২৬ হতে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ২০১৪-২০১৫ হতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে অভ্যন্তরীণ ঋণ জিডিপি’র অনুপাত ধারবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় ঋণ জিডিপি’র অনুপাত ১৫.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২১.৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
অন্যদিকে, বৈদেশিক ঋণ জিডিপি’র অনুপাত ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের ১১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ১০ শতাংশে পৌঁছেছে।
পূর্বাভাষ অনুযায়ী, ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এটি জিডিপি’র ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ হবে। যদিও বাংলাদেশের ঋণ-জিডিপি’র অনুপাত বর্তমানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত নিরাপদ সীমার মধ্যে রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক শৃঙ্খলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এক্ষেত্রে নিবিড় মনিটরিং ও সময়োপযোগী সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক।
একটি স্থিতিশীল এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি নিশ্চিত করার পথে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম রাজস্ব সংগ্রহ এবং ক্রমবর্ধমান ঋণ পরিশোধ ব্যয়-বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
অর্থ বিভাগ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি সহায়ক খাতে ঋণ গ্রহণকে অগ্রাধিকার দিলেও এটি মুদ্রার বিনিময় হার ঝুঁকি, ব্যয়বহুল অভ্যন্তরীণ ঋণ এবং অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার চাপের মুখোমুখি হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট রাজস্ব আহরণ আশানুরূপ না হওয়ায় সরকারের ওপর অর্থায়নের চাপ থাকছে। অন্যদিকে, উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য দেশজুড়ে ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো তৈরির প্রয়োজন।
এ প্রেক্ষাপটে, সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে একটি মধ্যমেয়াদি ঘাটতি অর্থায়ন কৌশল অনুসরণ করছে। ঘাটতি অর্থায়নের অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে ট্রেজারি বন্ড ও বিল এবং জাতীয় সঞ্চয় স্কিম প্রধান ভূমিকা পালন করছে। বৈদেশিক উৎসসমূহের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উৎস থেকে নমনীয় ও অ-নমনীয় ঋণ উল্লেখযোগ্য।
ঋণ প্রোফাইলের এক চিত্র উপস্থাপন করে নীতি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শেষে মোট সরকারি ঋণের পরিমাণ ছিল জিডিপি’র ৩৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, যার মধ্যে ২১.৫২ শতাংশ এসেছে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১৬ .১০ শতাংশ বৈদেশিক উৎস থেকে। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ঋণের সিংহভাগ (৫৮%) এসেছে ব্যাংকিং খাত থেকে, এরপর রয়েছে জাতীয় সঞ্চয় স্কিম যার অবদান ৩৪ শতাংশ।
অন্যদিকে, বৈদেশিক ঋণের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ পাওয়া গেছে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাজেন্সি (আইডিএ) থেকে, এরপর আছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং জাপান।
ঋণ স্থিতির মধ্যমেয়াদি প্রক্ষেপণ বিষয়ে বলা হয়েছে, মধ্যমেয়াদে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ জিডিপি’র অনুপাতে স্থিতিশীল থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরের শেষে মোট ঋণ জিডিপি’র ৩৭ দশমিক ৭২ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ হতে পারে জিডিপি’র ২১ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং বৈদেশিক ঋণ হতে পারে ১৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বিগত বছরগুলোর অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের বন্টন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ফলে বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদারদের কাছ থেকে অনুদান এবং নমনীয় ঋণ (কম সুদের হার, দীর্ঘ পরিশোধকাল) পাওয়ার সুবিধাদি ক্রমান্নয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে তুলনামূলক উচ্চ সুদের হার ও স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক ঋণের ওপর আরও বেশি নির্ভর করতে হতে পারে। যার ফলে ঋণ পরিশোধ ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। এসময় বাংলাদেশের ঋণ পরিস্থিতির মধ্যমেয়াদী চিত্র অনেকটাই নির্ভর করবে সরকারের গৃহীত কার্যকর কৌশলগুলোর বাস্তবায়নের ওপর।
যদি রাজস্ব আহরণ, রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ এবং ঋণ ব্যবস্থপনায় কার্যকর সংস্কার না আনা যায়, তাহলে ঋণের স্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। তবে, মধ্যমেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশ এই উত্তরণের পথ দক্ষতার সাথে অতিক্রম করতে পারবে এবং উন্নত অর্থনৈতিক অবস্থানের সুফল গ্রহণের পাশাপাশি একটি টেকসই ঋণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সক্ষম হবে।
ঢাকা/এস