‘স্কাই ফোর্স’ সিনেমা মুক্তির মাধ্যমে চলতি বছর শুরু করেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। বক্স অফিসে ততটা সাড়া ফেলতে পারেনি এটি। গত ১৮ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী সাড়ে ৫ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘কেসারি চ্যাপ্টার টু’। এটি পরিচালনা করেছেন করন সিং ত্যাগী।
চলতি বছর বলিউডের বেশ কিছু সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে আয় করা সিনেমার তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি)। এ তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে অক্ষয়ের ‘কেসারি চ্যাপ্টার টু’। অর্থাৎ প্রথম দিনে আয় করে মাত্র ৭.
গত কয়েক বছর ধরেই বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ছে অক্ষয় কুমার অভিনীত সিনেমা। তবে কী ‘কেসারি চ্যাপ্টার টু’ সিনেমাও ব্যর্থ সিনেমার তালিকায় জায়গা পাবে? চলুন তার আগে জেনে নিই ১১ দিনে কত টাকা আয় করেছে সিনেমাটি—
আরো পড়ুন:
অতীত জেনে মাধুরীকে বিয়ে করিনি: শ্রীরাম নেনে
১৫ দিন নিজের প্রস্রাব নিজে পান করেছি: পরেশ রাওয়াল
স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘কেসারি চ্যাপ্টার টু’ সিনেমা ভারতে আয় করে ৭.৭৫ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিনে আয় করে ৯.৭৫ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে আয় করে ১২ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে আয় করে ৬.৫ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে আয় করে ৫ কোটি রুপি (নিট), ষষ্ঠ দিনে আয় করে ৩.৬ কোটি রুপি (নিট), সপ্তম দিনে আয় করে ৩.৭ কোটি রুপি (নিট)।
অষ্টম দিনে ‘কেসারি চ্যাপ্টার টু’ সিনেমা ভারতে আয় করে ৪.০৫ কোটি রুপি (নিট), নবম দিনে আয় করে ৭.১৫ কোটি রুপি (নিট), দশম দিনে আয় করে ৮.১ কোটি রুপি (নিট), এগারো দিনে আয় করে ২.৭৫ কোটি রুপি (নিট)। বিদেশে আয় করেছে ২৭.২৫ কোটি রুপি। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১০৮.৫ কোটি রুপি (গ্রস) (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৫৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকার বেশি)।
১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল ঘটে যাওয়া জালিয়ানওয়ালাবাগ-কাণ্ড ভারতের ইতিহাসে কালো অধ্যায়। এদিন নিরপরাধ ভারতীয়দের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর ব্রিটিশদের থেকে পাওয়া ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘কেসারি চ্যাপ্টার টু’ সিনেমা।
এ সিনেমায় শঙ্করণ নায়ারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন আর মাধবান, অনন্যা পাণ্ডে, রেজিনা প্রমুখ। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫০ কোটি রুপি।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ৭৫ ক ট
এছাড়াও পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন নামঞ্জুর
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পথসভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৮ জন শিশু রয়েছে। এর মধ্যে গত চার দিনে ১২ শিশুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাত শিশুর জামিন আবেদনের শুনানি হয়। গোপালগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ আরাফাত হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এর আগে সোম ও মঙ্গলবার পাঁচ শিশুর জামিন আবেদন করা হয়। তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। ওই পাঁচজনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
কারাগার সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের পর ১৭ ও ১৮ জুলাই জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৮ শিশুকে আটক করে পুলিশ। ১৮ জুলাই তাদের আদালতে হাজির করে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২১ জুলাই তাদের যশোরের পুলেরহাট শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
আদালতের নথি অনুযায়ী, গ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বয়স, ঠিকানা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ নেই। তবে গতকাল পর্যন্ত ১২ শিশুর নাম ও পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। প্রথম আলোর পক্ষ থেকে চার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানদের কোনো ধরনের তদন্ত ছাড়াই আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনগ্রেপ্তার হওয়া শিশুদের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ২৭ জুলাই ২০২৫একজন শিশুর বাবা বলেন, ‘সংসারে অভাব–অনটন, নিজেরাই সংসার চালাইতে পারি না। আমার কষ্ট দেখে ছেলে রাজমিস্ত্রির কাজে যোগ দেয়। সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রমজান শেখ নামের একটা রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করে। কাজের সময় পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।’
আরেক শিশুর ভ্যানচালক বাবা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, কোথাও কোনো কাইজের মধ্যে নেই। তিনডা ছেলে, বড়টা একটা মাদ্রাসার শিক্ষক। ছোট দুইডা এখনো পড়ে। যারে ধরছে, সে সবার ছোট। ওই দিন সকালে আমার মাদ্রাসায় গেছে, পরীক্ষা ছিল। পরে দুপুরের আগে আমি নিজে যাইয়ে নিয়ে আসছি। সেদিন বাড়িতেই ছিল। পরের দিনও সারা দিন বাড়ি ছিল, সেদিন তো কারফিউ ছিল। আসরের নামাজের পর আমার কাছ থেকে ২০ টাকা নিয়ে গেছে চটপটি খাইতে। পাশে মাদ্রাসার সামনেই চটপটির দোকান বসে। সেই হান দে ওরে ধইরে নিছে।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘ধরার ঘণ্টাখানেক পর থানা থেইকা ফোন দিছে, কয় ছেলে ধরা হইছে। আমরা থানায় গিয়া অনেক কইছি, ও তো কোথাও যায় না, কোনো গ্যাঞ্জামের ছেলে না। মাদ্রাসায় পড়ে। কিন্তু কেউ কিছুই শুনল না। ছেলেরে ছাড়ায় আনতে অনেক জায়গায় দৌড়াইছি।’ তিনি জানান, এ ঘটনার পর থেকে তাঁদের প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
এ ছাড়া জামিনের আশ্বাস দিয়ে কয়েকজন লোক তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন একজন অভিভাবক।
আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা, আসামি ৪৭৭ জন৩১ জুলাই ২০২৫গ্রেপ্তার এক শিশুর আইনজীবী ফিরোজা বেগম বলেন, ১৬ জুলাই সহিংসতার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এই শিশুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩ ধারায় দ্রুত তদন্ত করে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সরকারি কৌঁসুলি তৌফিকুল ইসলাম বলেন, শিশুরা অল্প সময় আগে গ্রেপ্তার হয়েছে, এখনো তদন্ত চলছে। তাই হয়তো বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেছেন। এ মামলায় এখনো কারও জামিন হয়নি।
আরও পড়ুনগোপালগঞ্জে সংঘাতের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট, নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন ১৮ জুলাই ২০২৫