ইমরান খানকে মুক্তি দিয়ে সরকারের প্রতি সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

সম্প্রতি ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এ আহ্বান জানিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।

গতকাল সোমবার সিনেট অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান পিটিআইয়ের সিনেটর সৈয়দ আলী জাফর।

আরও পড়ুনসিমলা চুক্তি স্থগিত করার পাকিস্তানের হুমকি কি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল৪ ঘণ্টা আগে

সৈয়দ আলী জাফর সিনেট অধিবেশনে বলেন, মানুষ মোদির নাটকের চিত্রনাট্য খুব ভালো করেই জানে। তিনি বলেন, ভারত সরকার একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করতে পারে না।

পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেন পিটিআইয়ের এই নেতা সৈয়দ আলী জাফর। তিনি বলেন, মোদি ভারতকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুনপাকিস্তান যেকোনো কিছুর জন্য তৈরি, ভারত চেষ্টা করে দেখতে পারে: খাজা আসিফ৯ ঘণ্টা আগে

অপরদিকে সিনেটে বিরোধীদলীয় নেতা সিনেটর শিবলী ফারাজ বলেন, ‘পাকিস্তানের সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’ সিনেটে বক্তব্য দিতে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ফারাজ। তিনি বলেন, পাকিস্তান অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক—দুই ধরনের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে।

নয়াদিল্লির সমালোচনা করে পিটিআইয়ের নেতা বলেন, পাকিস্তানকে ভাঙার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে ভারত। এখনো পাকিস্তানবিরোধী বয়ান তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে।

আরও পড়ুনপাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত১৮ ঘণ্টা আগে

২২ এপ্রিলের ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি নাগরিকও ছিলেন। এই হামলার জন্য ভারত সরকার পাকিস্তানকে দায়ী করছে। তবে ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

পিটিআইয়ের এই নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি মোদি সরকার পাকিস্তানের এক ফোঁটা পানিও অন্যত্র সরায়, তবে তা শত্রুর আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ট আইয় র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের

মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।  

এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। 

বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ