বাংলাদেশর মানুষ আর কোন স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় ঘোষিত দাওয়াতি গণসংযোগে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেয়াকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ পূর্ব থানা জামায়াতের উদ্যোগে সিদ্ধিরগঞ্জ ওয়াপদা কলোনির বউ বাজার এলাকায় এ গণসংযোগ করায়। 

এ সময় মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তিন দফা দাওয়াত নিয় কাজ করছে । জামায়াতে ইসলামী ৯৫% মুসলমানের এই দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আসুন কুরআন বুজি,  কুরআন পড়ি, কুরআন দিয়ে জীবন গড়ি। 

সিদ্ধিরগঞ্জ পূর্ব থানা আমীর আলী আক্কাস রোমন এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শহিদুজ্জামান শহিদের সঞ্চালনায় জামায়াতের ব্যাপক গণসংযোগ কালে এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিন থানা আমীর আলহাজ্ব কফিলউদ্দিন আহমেদ সহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ