ঘরে বসে বিরক্ত লাগায় চুলে রঙ করেছেন ইয়ামাল
Published: 29th, April 2025 GMT
হেয়ার স্টাইলে পরিবর্তন এনেছেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী সেনসেশন লামিনে ইয়ামাল। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কোপা দেল রে ম্যাচের আগে বাদামি রঙয়ে চুল সাজান তিনি। মঙ্গলবার ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচের আগে বার্সা তরুণ জানান, ঘরে বসে বিরক্ত লাগায় চুলে রঙ করেছেন তিনি।
প্রথমবার বার্সার প্রেস কনফারেন্সে হাজির হন ইয়ামাল। ১৭ বছর বয়সী তারকার আগমণে প্রেস কনফারেন্স কক্ষ পুরোপুরি ভরাট ছিল। সেখানে একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইয়ামাল। কখনো চাপ নিয়ে কথা বলেছেন, কখনো মেসির সঙ্গে তুলনা নিয়ে তো আবার শততম ম্যাচ নিয়ে। মন খুলে উত্তরও দিয়েছেন তিনি।
এই যেমন চুলের রঙ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি এটা মজা করে করেছি। ঘরে বসে বিরক্ত লাগে। সেজন্য।’ নতুন চুলের স্টাইল করে হেয়ার ড্রায়ারে চুল শুকিয়ে নাকি ভালোই সময় যাচ্ছে তার। বয়স নিয়ে প্রশ্নে বলেন, ‘ফুটবলে কোন বয়স হয় না। এখানে কোয়ালিটি মূল বিষয়, প্রস্তুত থাকলে খেলতে মানা কোথায়। আমাদের দলটা তরুণ এবং আমরা শীর্ষ পর্যায়ে দারুণ খেলছি।’
লামিনে এখনো বেড়ে ওঠার পর্যায়ে আছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আমি জিতছি, আমাকে নিয়ে কেউ টু শব্দ করতে পারবে না। যখন হারাবে তখন বলবে।’ সেমিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইন্টার মিলান কেমন এমন প্রশ্নে বলেন, ‘তারা রক্ষণে খুবই শক্তিশালী। এটাই তাদের সেরা অস্ত্র এবং তারা কাউন্টার অ্যাটাকে বেশ ভালো। তারা খুব ভালো দল, তাদের হারাতে হলে আমরা যেটা এখন পর্যন্ত করে এসেছি সেটাই করতে হবে। তাদের তিন হার কোন সমস্যা করবে না। কারণ এটা ভিন্ন ম্যাচ।’
বার্সার জার্সিতে শততম ম্যাচ খেলতে নামবেন ইয়ামাল। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ধারাবাহিক, ১৭ বছর বয়সে খেলছি, যেটা সকলে পারে না। আমি মেসি বা অন্য কারোর সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চাই না। সেটা আমি আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম। আমি শুধু প্রতিদিন উন্নতি করতে চাই। মেসির সঙ্গে তুলনার তো প্রশ্নই আসে না। আমি তাকে ইতিহাসের সেরা মনে করি।’
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে মেসি কোন গোল করতে পারেননি এমন প্রশ্নে ইয়ামাল জানান, ইন্টারের সঙ্গে না পারলেও অনেক ক্লাবের সঙ্গে অনেক গোল মেসি করেছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম সেমিফাইনাল নিয়ে ১৭ বছরের এই বিস্ময় বালক বলেন বহু আগেই চাপ ছেড়ে এসেছেন তিনি, ‘আমি চাপে নেই, এটা আমি বহু আগে মাতেরো পার্কে ফেলে এসেছি। কোপা দেল রে’র ফাইনাল আমি কেবল উপভোগ করেছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত