যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ শিগগিরই দায়িত্ব ছাড়তে পারেন। বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দুটি সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছে। এটি হবে জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণ করার পর তাঁর প্রশাসনে প্রথম বড় ধরনের পরিবর্তন।

সূত্র জানায়, সপ্তাহের শুরুতে ওয়াল্টজকে স্পষ্ট জানানো হয় যে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নেতৃত্বে তাঁর সময় শেষ হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপ-উপদেষ্টা অ্যালেক্স ওয়াং এবং আরও কয়েকজন উপদেষ্টা সম্ভাব্য বিদায়ের তালিকায় আছেন, যদিও তাঁদের সময়সীমা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ওয়াল্টজের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। যদিও এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

ওয়াল্টজের পদ শঙ্কায় পড়ে যায় তখন, যখন তিনি একটি নিরাপত্তাসংক্রান্ত বার্তার গ্রুপ চ্যাটে ভুলক্রমে একজন সাংবাদিককে যুক্ত করেন। যদিও তখন প্রেসিডেন্ট তাঁকে বরখাস্ত করেননি। তবে সেই ঘটনার পর থেকে ওয়াল্টজ তাঁর প্রভাব হারাতে থাকেন।

বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পার করেছেন এবং তিনি এখন আর ‘বিশৃঙ্খলার’ ছাপ নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নন বলে জানা গেছে।

এদিকে ডেমোক্র্যাট সিনেটর মার্ক কেলি মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভুল ব্যক্তিকে (ওয়াল্টজ) দায়ী করছে। তিনি মনে করেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল; কারণ, তিনিই ইয়েমেন হামলার পরিকল্পনা একটি গ্রুপ চ্যাটে শেয়ার করেছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইরান: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইরান পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তেহরানের ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ আলোচনায় ফিরে আসা উচিত।

সোমবার (১৬ জুন) কানানাস্কিসে জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না... এবং তাদের অবিলম্বে কথা বলা উচিত, খুব দেরি হওয়ার আগেই।”

আরো পড়ুন:

খামেনিকে আঘাতে ট্রাম্পের ভেটো: ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া কেমন?

ইসরায়েলি হামলার পর পুনরায় সম্প্রচার শুরু করল ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি

কানাডায় প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের আরো বলেন, “আমরা সবসময় ইসরায়েলকে সমর্থন করে এসেছি এবং ইসরায়েল খুব ভালো করছে।”

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টেলিগ্রামে একটি পোস্টে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ‘সত্যিই কূটনীতিতে বিশ্বাস করেন ও যুদ্ধ বন্ধ করতে চান, তাহলে ‘ওয়াশিংটনের একটি ফোন কলই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে চুপ করানোর জন্য যথেষ্ট’।

তিনি বলেন, “এটি কূটনীতিতে ফিরে আসার পথ প্রশস্ত করতে পারে।”

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, “ইরান যুদ্ধ শুরু করেনি এবং আরো রক্তপাত চায় না। তবে ইরান তার ভূমি ও জনগণকে রক্ষা করার জন্য ‘সম্মানের সঙ্গে, শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত’ লড়াই করবে।”

 

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং শত শত ইসরায়েলি আহত হয়েছে। ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২২৪ জন নিহত এবং ১,০০০ জনেরও বেশি ইরানি নাগরিক আহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ