যশোরে ৩ জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের ৭ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 5th, May 2025 GMT
যশোরের শার্শা উপজেলার তিন জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরালী এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান (৬০), ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন আলম (৪০), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য আবদুল খালেক (৫৪), বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মুকুল হোসেন (৪৪), শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আক্তারুজ্জামান (৫৪), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি হায়দার আলী (৩৭) ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাহেব আলী (৫৫)।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা আছে।
আজ সোমবার দুপুরে ওই সাত নেতাকে যশোর আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান। তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল থানায় নাশকতার একাধিক মামলা আছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ঝ করগ ছ সদস য আওয় ম উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।