যশোরের শার্শা উপজেলার তিন জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগের সাত নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরালী এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শার্শা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান (৬০), ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন আলম (৪০), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউপি সদস্য আবদুল খালেক (৫৪), বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মুকুল হোসেন (৪৪), শার্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আক্তারুজ্জামান (৫৪), শার্শা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি হায়দার আলী (৩৭) ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সাহেব আলী (৫৫)।

পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা আছে।

আজ সোমবার দুপুরে ওই সাত নেতাকে যশোর আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান। তিনি বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা, শার্শা ও বেনাপোল থানায় নাশকতার একাধিক মামলা আছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঝ করগ ছ সদস য আওয় ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গোয়ালন্দে মানববন্ধন, ইউএনওর অপসারণ দাবি

পদ্মা নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ, মাদক ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে উপজেলাবাসী ব্যানারে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ডে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে প্রশাসনের ব্যর্থতার দায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া বিএনপির মতো বড় দল নিয়ে বিদ্রূপ করায় গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মো. নিজামকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বিএনপির নেতারা তাঁকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে পৌর বিএনপির সভাপতি কাসেম মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান মোল্লা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বিএনপি নেতা খন্দকার আবদুল মুহিত, পৌর বিএনপির সহসভাপতি জিয়াউল হুদা উজ্জল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল সরদার, দপ্তর সম্পাদক জিলাল প্রামাণিক, দেবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইসলাম মণ্ডল, উজানচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন মৃধা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শাহিন মোল্লা, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি মনিরুজ্জামান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সবুজ সরদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা সুধীর কুমার বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।

পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাসেম মণ্ডল বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির লোকজন নিজেদের বিএনপির লোকজন দাবি করে চাঁদাবাজি করছেন। তাঁরা এখন লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছেন। অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিক্রি বা চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আইয়ুব আলী খান বলেন, ‘বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মো. নিজাম ‘বারো নাপিতের পার্টি-বিএনপি’ বলে বিদ্রূপ করে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা আজকের সভা থেকে শেখ নিজামকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন এলাকায় অনেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন, চাঁদাবাজি করছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া কখনো এসব সম্ভব নয়। তাই ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাঁরা ইউএনওকে সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।

গোয়ালন্দের ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার কোথাও কোনো বালুমহাল নেই। পদ্মা নদী বা অন্য কোথাও থেকে তিনি মাটি বা বালু কাটতে কাউকে অনুমতি দেননি। এ বিষয়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্ক আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন: শ্রমিক লীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৬ নেতা-কর্মীর প্রার্থিতা বাতিল
  • যুবদল নেতার বাড়িতে দুই দফায় হামলা, গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ
  • বোধনের ‘প্রকৃতির কোলে ও কাঁখে বৈশাখ’
  • শ্রমিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলে সময় বেঁধে দিল এনসিপি
  • পটুয়াখালীতে গানের আয়োজনে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে অতিথি ওসি
  • অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে গোয়ালন্দে মানববন্ধন, ইউএনওর অপসারণ দাবি