গাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার মামলায় আরও ১৭ জন গ্রেপ্তার
Published: 6th, May 2025 GMT
গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় হওয়া মামলায় আরও ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাজীপুর নগরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, বাসন থানার পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করে। সন্ধ্যায় তাদের গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এর আগে ওই ঘটনায় ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সবার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার কাছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্ত এসে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় গাড়ির গ্লাস ভেঙে গেলে হাসনাত আবদুল্লাহর কনুইয়ের কয়েক জায়গায় কেটে যায়। এ ঘটনায় পরদিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে ১০০ জনকে আসামি করে বাসন থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
হামলার পরপর ওই এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মোট ৬০ জনকে গ্রেপ্তারর করা হয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুনগাজীপুরে হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা০৫ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই মারযুকের নামে ডাকাতি প্রস্ততির মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলা কমিটিতে পদ স্থগিত থাকা যুগ্ম সদস্য সচিব মো. মারযুক আব্দুল্লাহসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। পটুয়াখালীর দুমকি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ৬ জুন মামলাটি করেন। সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ঘটনা উল্লেখ করে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগে ২২ মে মারজুকের পদ স্থগিত হয়।
দুমকি থানায় মামলা সূত্রে জানা যায়, বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা সেতুর টোল প্লাজায় ৬ জুন তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল কিছু দূরত্ব বজায় রেখে চলছিল। চেকপোস্টের কাছাকাছি পৌঁছালে সামনের মোটরসাইকেল চেকপোস্টে রেখে আরোহী তিনজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় শিপন ও মামুন নামে দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল, একটি ওয়াকিটকি, একটি ইলেকট্রিক শক ডিভাইস, একটি মোটরসাইকেল ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই দু’জন জানায়, ‘পালানো তরুণের নামক মারযুক আবদুল্লাহ। তারা পেশাদার ডাকাত চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়।’
এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন শুক্রবার রাতে সমকালকে বলেন, আটক দু’জনকে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক মারযুক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষযে জানতে চাইলে মারযুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দুমকি পুলিশের সঙ্গে আমার মীমাংসা হয়ে গেছে।’
উল্লেখ, জুলাই আন্দোলনের সময়ে হামলার শিকার দাবি করে ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন মারযুক। ১৪ দলের সমম্বয়ক আমির হোসেন আমুসহ বরিশাল ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও জনপ্রনিধিসহ ২৪৭ জনকে আসামি করা হয়। ৯ মাস আগের ঘটনা দেখিযে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা এবং এ নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠায় তার পদ স্থগিত করেছে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।