ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে অবহিত করেছে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর সদর দপ্তর পরিদর্শন করলে তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয় বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় গত সপ্তাহে ২৬ জন নিহত হয়। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। হামলার পর পাকিস্তান ভারতের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কা করার কথা বলার প্রায় এক সপ্তাহ পরে আইএসআই সদর দপ্তরে গেলেন শেহবাজ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই সফরে বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্রিফিং করা হয়েছিল, বিশেষ করে পাকিস্তানের পূর্ব সীমান্তে ভারতের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক এবং উস্কানিমূলক অবস্থানের আলোকে প্রচলিত হুমকির জন্য প্রস্তুতির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।”

এতে বলা হয়েছে, “নেতৃত্বকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নয়ন ও প্রচলিত সামরিক বিকল্প, হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল এবং সন্ত্রাসী প্রক্সি সহ ক্রমবর্ধমান হুমকির গোপন তথ্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল।”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এবং সেনাবাহিনীর প্রধান।

অনুষ্ঠানে প্রকাশিত একটি গ্রুপ ছবিতে দেখা গেছে, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনির, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ এবং এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর - সফরকারী দলের অংশ ছিলেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হব জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুখে বললে লেখা হবে কাগজে

ভারতের কেরালা রাজ্যের এক শিক্ষার্থী দারুণ একটি যন্ত্র বানিয়েছেন। যন্ত্রটি মানুষের মুখের কথা শুনে কাগজে লিখে দিতে পারে। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শনীতে যন্ত্রটি মানুষের সামনে আনা হয়। ‘টক-টু-রাইট’ নামের এই যন্ত্র মূলত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁরা কারও সাহায্য ছাড়াই নিজের কথা সহজে লিখে প্রকাশ করতে পারবেন।

কেরালার ওই শিক্ষার্থীর নাম অজয় এইচ। তিনি লিংকডইন পোস্টে যন্ত্রটি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, যন্ত্রটি আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) ভয়েস-টু-পেন সিস্টেম, যা কথাকে কলমের মাধ্যমে হাতের লেখায় রূপান্তর করে।

অজয় ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী। তিনি জানিয়েছেন, র‍্যাসপবেরি পাই, আরডুইনো ও পাইথন ব্যবহার করে এ প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্দ্বী ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারে, এমনভাবে যন্ত্রটি নকশা করা হয়েছে।

অজয় লিখেছেন, ‘এই প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেখিয়েছে কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এমবেডেড সিস্টেম এবং সামাজিক প্রভাবের জন্য একটি স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি মিলিয়ে সহজলভ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রযুক্তি তৈরি করা যায়।’

অসাধারণ এ কাজের জন্য অজয় তাঁর দলের অন্য সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অপর্ণা হরি, রুবাক হরি নায়ার ও আকাশ জি নায়ার; যাঁদের নিষ্ঠা, সৃজনশীলতা আর একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতাই এই উদ্ভাবনকে সফল করেছে।

এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যবহারকারীরা প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ আইডিয়া! আপনি যদি এটাকে আরও উন্নত করেন, অনেক মানুষের উপকারে আসবে। দারুণ কাজ!’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘সত্যি, বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছে। অভিনন্দন ও ভবিষ্যতের কাজের জন্য শুভকামনা।’

ভার্জিনিয়া টেকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল প্রকৌশলী এমন একটি রোবোটিক পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যেটি চলাফেরায় অক্ষম কিংবা দৈনন্দিন কাজ করতে অসুবিধা হয়, এমন মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ