রিমান্ড শেষে কারাগারে কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর
Published: 9th, May 2025 GMT
২০২৩ সালে বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীমকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জাফর আলমকে ৪ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।
এদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক ফেরদৌস আলম। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক মো.
গত ৫ মে জাফর আলমের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল জাফর আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত। তার আগে ২৭ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাফর আলম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন অংশ নিয়ে হেরে যান তিনি। জাফর আলম ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০১৪ সালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা
সাতক্ষীরায় ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের (আইভিএসি) কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) শহরের ইটাগাছা এলাকার সংগ্রাম প্লাজায় অবস্থিত ভাড়া করা কার্যালয়টি খালি করেছে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
ড. ইউনূসকে অসুর রূপে উপস্থাপন নিন্দনীয়: উপদেষ্টা
দুর্নীতিগ্রস্ত উপদেষ্টাদের শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে এনসিপি, জানালেন নাসীরুদ্দীন
এদিকে, প্রায় ৫ বছর চলার পর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া এ সেন্টার ঘিরে ভোগান্তিতে পড়েছেন সীমান্তবর্তী জেলার হাজারো ভিসা প্রত্যাশীরা। তাদের এখন ঢাকা, খুলনা বা যশোরে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
জানা যায়, প্রান্তিক ও দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষের ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে সাতক্ষীরাসহ মোট ছয়টি ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালুর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন। এরই অংশ হিসেবে হাইকমিশনের উদ্যোগে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সাতক্ষীরার ইটাগাছা এলাকায় সংগ্রাম প্লাজার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার চালু হয়। পরে ১৩ জানুয়ারি থেকে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ২ মাস সেন্টারটির কার্যক্রম চালু ছিল। তবে এরপর থেকে অফিসটি তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।
গত ২০২৪ সালের ২৬ আগস্ট ভিসা পেতে হয়রানির প্রতিবাদে সাতক্ষীরার ভিসা সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ করেন ভিসা প্রার্থীরা। কয়েক মাস ধরে ভিসার আবেদন করেও ফল না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে এমন আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, সেন্টারটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী এই জেলার হাজারো মানুষ এখন ভিসার জন্য খুলনা কিংবা যশোরে যেতে বাধ্য হবেন। এতে তাদের ভোগান্তি আরো বাড়বে।
ভবনটির ম্যানেজার লক্ষ্মীনাথ গাইন জানান, প্রায় ১ মাস আগে ভিসা সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়ে দেয়, সাতক্ষীরায় আর ভিসা অফিস রাখা হবে না।
বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের ডেপুটি চিফ অপারেটিং অফিসার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ভবন মালিককে আগেই জানানো হয়েছিল, নির্ধারিত দিনে সেন্টারটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
এছাড়া, চলতি বছরের ২৮ আগস্ট লিখিতভাবে সংশ্লিষ্টদের কক্ষ খালি করার নোটিশ দেওয়া হয়।
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী