বিশ্বে শতবর্ষের বেশি সময় বেঁচে থাকা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যারা একশো বছরের বেশি সময় বাঁচেন তাদেরকে বলা হয়, ‘সুপার সেনটেনেরিয়ান’ বা ‘অতিশতবর্ষী’। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৬২ সাল থেকে মানুষের গড় আয়ুর হিসাব রাখা শুরু হয়। ওেই বছরে যাদের জন্ম হয় তাদের গড় আয়ু ছিল ৫২ বছর। ছয় দশকে এই হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেছে। জাতিসংঘের হিসাব থেকে জানা যাচ্ছে, বিশ্বে বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছরে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বে শতবর্ষী বা তার বেশি বয়ষ্ক মানুষের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ ৮৮ হাজার।২০৩০ সালের মধ্যে শতবর্ষীদের সংখ্যা এক মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু ১৯৯০ সালে শতবর্ষীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯২ হাজার।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা, ভালো খাবার, জীবনযাপনের ধরনের মানোন্নয়নের কারণে মানুষের আয়ু বাড়ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০৫০ সাল নাগাদ এটা ৭৭ বছরে পৌঁছে যেতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী যে পরিমাণ শিশু আছে তার চেয়ে বেশি মানুষ আছে ৬৫ বছরের বেশি বয়সী।
মোট কথা, ১০০ বছর বাঁচা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের এক হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য সাত শতাংশ (০.
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদিও বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের জন্য ১০০ বছরের ঘর ছোঁয়া কঠিন হবে। ২০২৪ সালে ফ্রান্সের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেমোগ্রাফিক স্টাডিসের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে জন্ম নেওয়া ছেলেদের দুই শতাংশ এবং মেয়েদের পাঁচ শতাংশ বছরের হিসাবে তিন অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শতবর ষ বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয়: এনবিআর
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সব কয়টি ঘর ‘শূন্য’ হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় বলে ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক কিছু ভ্রান্ত ধারণার পোস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে।
এসব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাঁদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা প্রদান করে আসছেন। এসব জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দণ্ডনীয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর।
রবিবার (১০ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানায়, করদাতাদের জানানো যাচ্ছে যে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তাঁর প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে।
করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোন একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বে-আইনি এবং এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে তাঁর আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে করদাতাকে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে।
একজন করদাতার আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায় সংক্রান্ত বিষয়ে রিটার্নে সঠিক ঘোষণা প্রদান করা একজন করদাতার পবিত্র নাগরিক ও আইনি দায়িত্ব। করদাতার প্রকৃত আয়ের পরিমাণ আইনানুযায়ী করযোগ্য না হলে তাঁকে কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে কর প্রদেয় না হলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন না করে শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে শুন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করার কোন সুযোগ আয়কর আইনে নেই।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করে যে, করদাতা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে আয়কর রিটার্নে প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন করে দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হবেন। একইসাথে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতারনামূলক জিরো রিটার্নের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে সুরক্ষিত রাখবেন।
ঢাকা/নাজমুল/এস