দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী নেওয়া শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 9th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বরাতে এবং হাতে আসা নথির ভিত্তিতে পত্রিকাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভার্জিনিয়ার ওয়াশিংটন ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এই অনুষ্ঠানে এই শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের আগমন উদ্যাপন করা হবে। তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান জাতিগোষ্ঠীর সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে হোয়াইট হাউস ও স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের (এইচএইচএস) সঙ্গে রয়টার্সের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশাসন প্রাথমিকভাবে সোমবার আফ্রিকানদের স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। কারণ, শরণার্থীরা কখন এসে পৌঁছাবেন, তা ফ্লাইটের সময়সূচি ও শরণার্থী দলের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার ওপর নির্ভর করছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। আদেশে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় মূলত ডাচ বংশোদ্ভূত আফ্রিকানরা ‘অন্যায় জাতিগত বৈষম্যের শিকার’ হচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেব্রুয়ারি মাসেই ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করে। তখন তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, এটি ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ এবং এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্যের গভীর ও বেদনাদায়ক ইতিহাসকে’ উপেক্ষা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী নিতে যাচ্ছে, যখন দেশটি সব ধরনের শরণার্থীর প্রবেশ স্থগিত করেছে। নিরাপত্তা ও ব্যয়–সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আদেশের ফলে শত শত আফগানসহ সংঘাতকবলিত বিভিন্ন দেশের পালিয়ে আসা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে গেছে। অথচ তাঁদের অনেকের নথিপত্রের যাচাই-বাছাই শেষ হয়ছিল। এখন তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীশিবিরসহ নানা অস্থায়ী আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শরণ র থ
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী নেওয়া শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বরাতে এবং হাতে আসা নথির ভিত্তিতে পত্রিকাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভার্জিনিয়ার ওয়াশিংটন ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এই অনুষ্ঠানে এই শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের আগমন উদ্যাপন করা হবে। তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান জাতিগোষ্ঠীর সদস্য।
এ বিষয়ে জানতে হোয়াইট হাউস ও স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের (এইচএইচএস) সঙ্গে রয়টার্সের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশাসন প্রাথমিকভাবে সোমবার আফ্রিকানদের স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। কারণ, শরণার্থীরা কখন এসে পৌঁছাবেন, তা ফ্লাইটের সময়সূচি ও শরণার্থী দলের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার ওপর নির্ভর করছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। আদেশে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় মূলত ডাচ বংশোদ্ভূত আফ্রিকানরা ‘অন্যায় জাতিগত বৈষম্যের শিকার’ হচ্ছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেব্রুয়ারি মাসেই ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করে। তখন তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, এটি ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ এবং এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্যের গভীর ও বেদনাদায়ক ইতিহাসকে’ উপেক্ষা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী নিতে যাচ্ছে, যখন দেশটি সব ধরনের শরণার্থীর প্রবেশ স্থগিত করেছে। নিরাপত্তা ও ব্যয়–সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আদেশের ফলে শত শত আফগানসহ সংঘাতকবলিত বিভিন্ন দেশের পালিয়ে আসা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে গেছে। অথচ তাঁদের অনেকের নথিপত্রের যাচাই-বাছাই শেষ হয়ছিল। এখন তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীশিবিরসহ নানা অস্থায়ী আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।