যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শরণার্থীদের গ্রহণ করতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের বরাতে এবং হাতে আসা নথির ভিত্তিতে পত্রিকাটি এ তথ্য জানিয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ভার্জিনিয়ার ওয়াশিংটন ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। এই অনুষ্ঠানে এই শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের আগমন উদ্‌যাপন করা হবে। তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান জাতিগোষ্ঠীর সদস্য।

এ বিষয়ে জানতে হোয়াইট হাউস ও স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের (এইচএইচএস) সঙ্গে রয়টার্সের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রশাসন প্রাথমিকভাবে সোমবার আফ্রিকানদের স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই তারিখ পরিবর্তন হতে পারে। কারণ, শরণার্থীরা কখন এসে পৌঁছাবেন, তা ফ্লাইটের সময়সূচি ও শরণার্থী দলের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করার ওপর নির্ভর করছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আফ্রিকার শরণার্থীদের পুনর্বাসনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। আদেশে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় মূলত ডাচ বংশোদ্ভূত আফ্রিকানরা ‘অন্যায় জাতিগত বৈষম্যের শিকার’ হচ্ছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফেব্রুয়ারি মাসেই ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করে। তখন তাঁরা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, এটি ‘বাস্তবতাবিবর্জিত’ এবং এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ‘উপনিবেশবাদ ও বর্ণবৈষম্যের গভীর ও বেদনাদায়ক ইতিহাসকে’ উপেক্ষা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে শ্বেতাঙ্গ শরণার্থী নিতে যাচ্ছে, যখন দেশটি সব ধরনের শরণার্থীর প্রবেশ স্থগিত করেছে। নিরাপত্তা ও ব্যয়–সংক্রান্ত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আদেশের ফলে শত শত আফগানসহ সংঘাতকবলিত বিভিন্ন দেশের পালিয়ে আসা নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে গেছে। অথচ তাঁদের অনেকের নথিপত্রের যাচাই-বাছাই শেষ হয়ছিল। এখন তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শরণার্থীশিবিরসহ নানা অস্থায়ী আশ্রয়ে অবস্থান করছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শরণ র থ

এছাড়াও পড়ুন:

নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান শেষে নিউইয়র্ক থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরেছেন।

নয় দিনের নিউইয়র্ক সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ সকাল ৯টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বাসসকে এই তথ্য জানান।

এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর সফরসঙ্গীরা যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক এমদাদ আরিফুল ইসলাম বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে বিদায় জানান।

সফরকালে গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা। ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুর পরিস্থিতিবিষয়ক’ উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী সম্মেলনে বক্তব্য দেন।

২৯ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাঁর অবস্থান করা হোটেলে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি। একই দিন জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ, স্থলবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রপুঞ্জবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমাও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

নিউইয়র্ক সফরে মুহাম্মদ ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন। তিনি ট্রাম্পকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এ ছাড়া মুহাম্মদ ইউনূস নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, ভুটান, কসোভোসহ বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র-সরকারপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

প্রধান উপদেষ্টা গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, বিমানবন্দরে আখতার-জারার সংবাদ সম্মেলন বর্জন
  • নিউইয়র্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা