বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘‘যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। তাদের তো বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ থাকতে পারে না। আমরা ফেব্রেুয়ারি মাসের ১০ তারিখেই এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে লিখিতভাবে অনুরোধ করেছিলাম।’’

বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

আহমেদ আযম খান বলেন, ‘‘নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের ধারাবাহিক যে বক্তব্য, আমাদের সুচিন্তিত যে বক্তব্য, সেটাই আমাদের কথা। মানুষের আকাঙ্খা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রথম পদ্ধতিই হলো অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। স্বাধীন সংসদ এবং নির্বাচিত সরকার। গত ১৭ বছর আমরা যে রক্ত দিয়েছি। আমরা সাত লক্ষ বিএনপির নেতাকর্মী হামলা, মামলায় জর্জরিত হয়েছি। হাজার হাজার নেতাকর্মী আমাদের গুম হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে অবাধ ও নিরপক্ষে নির্বাচনের আন্দোলনের জন্য।’’ 

‘‘আমাগী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সংস্কারগুলো দরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সেই সংস্কারগুলো শেষ করে আশা করবো ডিসেম্বরের মধ্যেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আমার অতি দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরতে চাই।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা একটা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ হবে গণতন্ত্রের বাংলাদেশ। এটা কোনো ফ্যাসিবাদী বাংলাদেশ হবে না। কোনো স্বৈরতন্ত্রের বাংলাদেশ হবে না। আদালতের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।’’

‘‘এপ্রিল মাস থেকে যতবার উপদেষ্টামণ্ডলীর সাথে কথা হয়েছে আমাদের নেতৃবৃন্দ এই আলোচনাগুলো রেখেছেন। কাজেই আমরা মনে করি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোই রাজনীতি করবে।’’ বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান প্রমুখ। 

কাওছার//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণত ন ত র ক ব এনপ র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। এখন বিজয়ের লক্ষ্য পূরণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অগ্রসর হতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের আলোচনার শুরুতে আলী রীয়াজ এ কথা বলেন। গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়।

ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ৫৩ বছর ধরে এ দেশের মানুষ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে সংগ্রাম করেছেন। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি বলে জনগণ এসব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত থেকেছেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য যেমন ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা; তেমনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক শক্তিগুলোসহ নাগরিক সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা। এই ঐক্যকে সুদৃঢ় করে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘আমরা একটা ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণে আছি। স্বাধীনতার পর এমন সুযোগ আর কখনো আসেনি। তাই অপূর্ণ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’

আলোচনায় কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণতন্ত্রই অধিকার নিশ্চিতের একমাত্র পথ: আলী রীয়াজ
  • বাংলাদেশের বিরোধিতাকারীদের আস্ফালন মেনে নেওয়া হবে না: গণতন্ত্র মঞ্চ
  • প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন: আস্থার সংকট, নাকি প্রহসন?
  • গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে দূরদর্শী সিদ্ধান্তে
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় নিশ্চিত হয়েছে: আলী রীয়াজ
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়ন গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয়: আলী রীয়াজ 
  • ফ্যাসিস্ট শাসকের পলায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে: আলী রীয়াজ