৯ মাস পর মামলা, আসামিরা ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ
Published: 16th, May 2025 GMT
গত বছরের ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে অগ্নিসংযোগের ঘটনার ৯ মাস পর মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই মামলা করা হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, দুর্নীতি লুটপাটের প্রমাণ নষ্ট করতে শহরের ওসমান পরিবারের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে আগুন দেওয়া হয়। মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলাটির বাদী নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সুপারভাইজার রঞ্জন কুমার রায় সুমন অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাবের নিয়ন্ত্রণ ছিল ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, তাঁর ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান শামীম ওসমানের শ্যালক ক্লাবের চার বারের সভাপতি তানভীর আহমেদ টিটুর হাতে। তারা ক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণসংক্রান্ত তথ্যাবলি গোপন রাখেন। বহুতল ভবনসহ ক্লাবে ঘটা দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, তহবিল তসরুপ ধামাচাপা দিতে ২ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টায় ক্লাবের গেস্ট হাউসের প্রেসিডেন্ট স্যুটে গোপন বৈঠকে মিলিত হন তারা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ৫ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে আটটায় শামীম ওসমানের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের ভিতর ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় ৮-১০টি ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়।
পরবর্তীতে তারা ক্লাবের অফিস কক্ষ, গেস্ট হাউস, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন কক্ষে বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ব্যাংকের হিসাব জমা বই, এফডিআর রশিদ, রেকর্ডপত্র, টিভি, ফ্রিজ, এসি, কম্পিউটারসহ সবকিছু পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় ক্লাবের দশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করেন তিনি।
মামলার আসামি তালিকায় নাম রয়েছে লায়ন্স গভর্নর ও ক্লাবের সাবেক সহসভাপতি শংকর কুমার রায়, শামীম ওসমানের বিয়াই ও ক্লাবের সাবেক জুনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বিপ্লব সাহা রামু, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম রানা, ক্লাবের সাবেক সভাপতি খবির আহমেদ, সাবেক কার্যকরী সদস্য মঈনুল হাসান বাপ্পী, শামীম ওসমানের বন্ধু লিটন সাহা, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ শ ম ম ওসম ন আওয় ম ল গ ন ত ন র য়ণগঞ জ ক ল ব শ ম ম ওসম ন র আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আমীর হোসেন (৫০) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আমীর হোসেন জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মহলগিরী এলাকার শাহ জামালের ছেলে। রায় ঘোষণার সময়ে তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান জানান, রূপগঞ্জের পশ্চিমগাঁও এলাকার মো. আবু তালেবের মেয়ে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে আমীর হোসেনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
২০০৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে আমীর হোসেন বিলকিছ বেগমকে তাদের বাড়ির পাশে ডেকে নিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনায় বিলকিছের বাবা আবু তালেব রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দেন।